আলীকদম উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন আলীকদম নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নয়াপাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কফিল উদ্দিন,চৈক্ষ্যং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান,আহছাব উদ্দিন,জামাল হোসেন,ইউপি সদস্য আব্দুল মানান,আয়শা বেগম,চৈক্ষ্যং ইউপি সচিব মালিক বড়ূয়া, নয়াপাড়া ইউপি সচিব আবু হানিফ রাজুর বিরুদ্ধে মামলা করা করেন।
নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কফিল উদ্দিন বলেন, আমি কোন রোহিঙ্গা নাগরিক কে ভোটার হতে সহায়তা করিনি। ইউপি সদস্য রোহিঙ্গা নয় নিশ্চিত করার পর প্রত্যায়ন গুলোতে স্বাক্ষর করেছি। আমার ইউনিয়নের সবাইকে আমার পক্ষে চেনা সম্ভব না। ইউপি সদস্যরা নিশ্চিত করার পর আমি স্বাক্ষর করি। তাছাড়া বিগত চেয়্যারম্যানের সনদও ছিল বলে ইউপি সদস্য মন্তব্য করেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকালে আহছাব উদ্দিন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাতের যাচাই বাচাইয়ের সময় বিশেষ কমিটির কাছে তার কাগজপত্র জমা দেয়। কমিটি যাচাই বাচাইয়ের সময় তার কথা সন্দেহ জনক মনে হলে সংশ্লিষ্ট ওর্য়াডের লোক জনের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হই আহছাব উদ্দিনের বাবা রোহিঙ্গা,জন্ম নিবন্ধন সনদ, চেয়ারম্যান সনদ যাকে বাবা বানিয়েছে তিনি তার জন্ম দাতা পিতা নই। আহছাব উদ্দিনের মা আয়শা বেগমরে দ্বিতীয় স্বামী জামাল হোসেন।
তার মা জীবিত থাকলও তার মা আয়শা বেগমের নাম মৃত্যু সনদ করা হয়েছে। পরে নিজেও স্বীকার করছে বলো উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান। পরে উক্ত রোহিঙ্গা আহছাব উদ্দিন ও তার ভূয়া বাবা জামাল হোসেন কে পুলিশের কাছ হস্তান্তর করা হয় বলে জানান উপজলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৮ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। আটক আহছাব উদ্দিন ও জামাল হোসেন কে আদালতে প্ররণ করা হয়ছে। বাকী আসামীদের দ্রুত আটক করার জন্য চেষ্টা চলমান রয়েছে।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহরুবা ইসলাম বলেন, আমার এই ব্যাপারে কোন বক্তব্য নাই। তবে, নির্বাচন কর্মকর্তা যে মামলা দায়ের করেছেন সেটি নির্বাচন কর্মকর্তা ভালো জানতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।
Leave a Reply