মোঃ জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান :
ধর্ষণ শব্দ টা বর্তমান সমাজে খুব বেশি আলোচনার বিষয়।সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে ধর্ষণের প্রভাব ছড়িয়ে গেছে। সমাজের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ধর্ষণের ছোঁয়া নেই।অর্থাৎ সমাজের প্রতিটি স্তরে কেমন যেন ধর্ষণ শব্দের আনা-গোনা। বাজারের মধ্যে চাল-ডাল পাওয়াটা যেমন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার,ধর্ষণ বিষয়টাও বর্তমান সমাজে ঠিক তেমন হয়ে দাঁড়িয়েছে।এমন কোন দিন অতিবাহিত হয় না যেদিন পত্রিকার হেডলাইনে ধর্ষণের খবর পাওয়া যায় না। আজকের পত্রিকায় যদি ছাত্রী ধর্ষণের খবর আসে, তাহলে পরের দিন আসে গৃহবধূর খবর তারপরের দিন আসে গার্মেন্টসকর্মীর তারপরের দিন আবার পথচারী তরুণীর এ ভাবে চলতেই থাকে।এ কালো থাবা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না মা,বোন,স্ত্রী, এমনকি শিশুরাও। মানুষের চরিত্র মনে হয় জাহিলিয়াতের সেই পূর্বাবস্থায় ফিরে গেছে। পশুর চেয়েও খারাপ আচরণ করা হচ্ছে নারীর সাথে। একজন নারী তার জায়গাতে মায়ের কিংবা বোনদের জায়গায়। কিন্তু তারা আজ আমাদের কাছে পণ্যে পরিণত হয়েছে।সবাই তাদেরকে খেলনা হিসেবে ব্যবহার করছে। সমাজের এই চিত্রের জন্য কারা দায়ী।কাদের প্ররোচনায় পড়ে দেশের মানুষ রুপি পশুরা আমাদের মা-বোনদের সাথে এমন হীন পশুসুলভ আচরণ করছে। আর কতকাল মা-বোনের আর্তনাদ শুনতে হবে, আর কতকাল মা-বোনেরা তাদের সম্ভ্রম হারাবে,আর কত সময় মা-বোনেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে,আর কতদিন নরপিশাচ নামক ধর্ষকরা পশুর মত আচরণ করার পরও মাপ পেয়ে যাবে,আর কতকাল দেশের হর্তাকর্তাদের ছত্রছায়া থেকে এরকম কাজ করার পরও পার পেয়ে যাবে ধর্ষক নামক নরপিশাচরা। এই গর্হিত কাজের স্বীকার হতে হচ্ছে স্কুল,কলেজ,ভার্সিটির ছাত্রীদের এমনকি ঘরের মধ্যে থাকে গৃহবধূকেও।একজন গৃহবধূ যদি ঘরের মধ্যে থেকে ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই না পায় তাহলে তারা কোথায় গিয়ে তাদের নিরাপত্তার আশ্রয় নেবে। ধর্ষকদের এমন হীন পশুসুলভ আচরণ কমছে না। কিভাবে কমবে এ ধরনের হীন আচরণ। যখন বার বার অপরাধ করার পরেও মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ, একজন ধর্ষককে যদি ইসলামী আইন অনুসারে রজম মেরে হত্যা করা হয় তাহলে দেশের ধর্ষকদের সংখ্যা দিনদিন কমবে বলে আশা করা যায়।কোন অন্যায় করে পার পেয়ে যাওয়া মানে তার মধ্যে অন্যায় কাজ করার প্রবণতা, অপরাধপ্রবণতা,খারাপ কাজ করার ইচ্ছা বেড়ে যায়। নির্ভয়ে সে তার কার্যকলাপ চালিয়ে যায়। যতদিন সরকার ধর্ষকদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ না নিবে ততদিন এটা চলতেই থাকবে। বর্তমান সমাজে ধর্ষণ ঘটনাটি অহরহ ঘটে যাচ্ছে। মানুষের মানবতা, মনুষত্ববোধ এত নীচে চলে গেছে যে তিন বছর চার বছর পাঁচ বছর ছয় বছর কিংবা সাত-আট বছরের ছোট্ট শিশুদের সাথে এমন হীন কার্যকলাপ করা হচ্ছে। আমরা যদি পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই গত ছয় মাসের তথ্য মতে দেশে প্রায় হাজারেরও অধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এটাতো পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী এর বাহিরে কত যে হাজার হাজার এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটছে যার কোন ইয়ত্তা নেই।শুধু ধর্ষণই না অনেক সময় ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলা হচ্ছে শিশু,নারী কিংবা তরুণীকে।আবার অনেক সময় তরুণী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর নিজের সতিত্বকে হারিয়ে সমাজের লোক লজ্জার ভয়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
পিরিয়ড মেয়েদেরকে কিছু দিন এর জন্য অসুস্থ করে,
ধর্ষণ মেয়েদেরকে সারাজীবনের জন্য স্তব্ধ করে দেয়।
Leave a Reply