1. admin@dailysomoyaralo24.com : admin :
বালিয়াডাঙ্গীতে ১৪ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দৈনিক সময়ের আলো ২৪
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সময়ের আলো টোয়েন্টিফোর ডটকম পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম। সাংবাদিক  গোলাম কিবরিয়ার সম্পাদনায় আমরা সত্যসন্ধানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, অপরাধ - অনিয়ম-ঘুষ সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও ভূমি দস্যূের সুনির্দিষ্ট তথ্য আমাদেরকে জানান আমরা তা তুলে ধরবো জনতার স্বার্থে  ধন্যবাদ।  ভিজিট করুন www.dailysomoyaralo24.com
শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁও ইএসডিওর গেইমচেঞ্জার প্রকল্পের অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত লাউ চাষে সফল উদ্যোক্তা তৌহিদ কাহারোলে ভ্রাম্যমান আদালতে সার ডিলারকে জরিমানা ঠাকুরগাঁও যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে ইউএনও’র অব্যবস্থাপনায় বিজয় দিবস অনুষ্ঠান বয়কট সাংবাদিকদের সিরাজগঞ্জের সলংগায় বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কাহারোলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পদে যোগদান করছেন মো: শফিকুল ইসলাম শফিক গাজীপুর শিল্প নগরী টঙ্গীতে ঐতিহ্যবাহী অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা

বালিয়াডাঙ্গীতে ১৪ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

আনোয়ার হোসেন আকাশ রাণীশংকৈল প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে একরাতে ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা হয়েছে।

রোববার রাতে উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জোতিময় সিংহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলাটি করেন বলে বালিয়াডাঙ্গি থানার ওসি খায়রুল আনাম ডন জানান।

শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত সময়ে উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ধনতলা ইউনিয়নে ৯টি, চাড়োল ইউনিয়নে ১টি এবং পাড়িয়া ইউনিয়নে ৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ছাড়াও সনাতনী সম্প্রদায়ের অন্যতম পবিত্র গ্রন্থ “গীতা” ছিড়ে ফেলা হয়। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডি থেকে টাকাহারা পর্যন্ত ১টি হরিবাসর মন্দির, ১টি কৃষ্ণ ঠাকুর মন্দির, ৫টি মনসা মন্দির, ১টি লক্ষ্মী মন্দির ও ১টি কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।

এ ছাড়া চাড়োল ইউনিয়নে ১টি কালীমন্দির, পাড়িয়া ইউনিয়নে ১টি বুড়া-বুড়ি মন্দির, ১টি লক্ষ্মী মন্দির, ১টি আমাতি মন্দির এবং ১টি মাসানমাঠ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রতিমাগুলোর হাত-পা, মাথা ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেছে। আবার কিছু প্রতিমা ভেঙে পুকুরের পানিতে ফেলে রেখেছে।

মন্দিরের প্রতিমা ভাঙার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার গুপ্ত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েলসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

সিন্দুরপিণ্ডি এলাকার বাসিন্দা কাশীনাথ সিংহ বলেন“হঠাৎ করে কে বা কারা রাতের আঁধারে প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে। এতে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় আছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।”

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার গুপ্ত জানান, গত শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বেশির ভাগ প্রতিমাই রাস্তার পাশে স্থাপিত মন্দিরের। সেসব মন্দিরে কালী, সরস্বতী, লক্ষ্মী ও মনসার প্রতিমা ছিল। সেসব প্রতিমার মাথা, হাত, পাসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জী পুতুল বলেন, এই এলাকায় এর আগে এ ধরনের ঘটনার নজির নেই। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মুসলিমদের কোনো বিরোধ নেই। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় কারা সম্পৃক্ত থাকতে পারে, তার কিছুই আন্দাজ করা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী আসলাম জুয়েল বলেন, “যেসব মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে এগুলো অনিরাপদহীনভাবে রাস্তার পাশে ছিল।”

“প্রতিমা ভাঙচুরের এই ঘটনাটি আসলে দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করি। এ ছাড়া সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। পুলিশ এ ঘটনায় কাজ করছে। কোনো গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশে এসব মূর্তি ভাঙচুর করেছে কি না, এসব বিষয় মাথায় নিয়ে ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যাবে।

জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির জনপদকে যারা অশান্ত করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে, তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা