পটুয়াখালীর দুমকিতে এনটিআরসি এর ৩য় গন বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করে কয়েকদিন ক্লাস করলেও এখন আর ক্লাসে আসেন না দুজন শিক্ষক। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলা সদরের এ.কে বহুমূখী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে ২ জন শিক্ষক বেতন ভাতা (এমপিও) না হওয়াতে ক্লাসে আসছেন না।
বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকগন সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে হতাশায় ভুগছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১ টায় সময়ের আলো সরেজমিনে গেলে একাধিক শিক্ষার্থী দাবী করে বলেন, আমাদের নতুন স্যারেরা কয়েক দিন ক্লাস করলেও এখন আর আসেন না। আমাদের ইলেকট্রিক্যাল ক্লাস নিয়মিত হয় না। আমরা পরীক্ষার খাতায় কি লিখবো?
এছাড়াও সাংবাদিকদের সামনেই প্রধান শিক্ষক সদ্য যোগদান করা শিক্ষকদের ফোন করে স্কুলে নিয়মিত আসার জন্য তাগিদ করেন।
অনুপস্থিত কেন প্রশ্ন করা হলে ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে যোগদানকৃত অনুপস্থিত শিক্ষক মোঃ মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের বেতনে সমস্যা। স্কুল থেকে কিছু পাই না। কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে কিন্তু ডিজি কাগজপত্র ধরে না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে যোগদানকৃত অপর শিক্ষক মেহেদি হাসান বলেন, ফ্রী টাকায় কিভাবে সেবা দিব। আমারও তো জীবন আছে। যদি নিয়োগ-যোগদানের দু এক মাসের মধ্যে বিল হয়ে যেত তবে এ সমস্যা হত না।
(এনটিআরসিএ) এর সুপারিশ পত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে ১০% দিবে তা লেখা আছে বলেও তিনি আরও জানান।
প্রতিষ্ঠান থেকে আয়ের একটা অংশ নতুন যোগদান করা শিক্ষকদের দেয়া হয় কিনা জানতে চাইলে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, কারিগরি শাখায় স্কুল থেকে কতই বা আয় হয়।দুমকি থানায় কোন স্কুল থেকেই বা বেতন পায়। আর তারা যদি স্কুলে নিয়মিত আসতেন তবে ১০ টাকা আয় হলে নিয়ম অনুযায়ী তারাও ২ টাকা পেতেন।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বদরুন নাহার ইয়াসমিন বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠান প্রধান লিখিতভাবে আমাকে জানালে তাদের বিরূদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply