খাগড়াছড়ি”র রামগড় উপজেলা”র ২নং পাতাছড়া ইউপি”র অধিনস্থ পাগলা পাড়া নামক স্থানে,গত ৫ অক্টোবর ২০২২ রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে আবুল কালাম আজাদ নামে এক মুদি দোকান্দারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে পাগলা পাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ রহমত আলী (৩৫) পিতা হুদা মিয়া, নুর হোসেন,(২৫)পিতা বাচ্ছু মিয়া,মোঃ শাহিন (২০)পিতা আলী আশ্রাফ,মহিন উদ্দিন(২২) পিতা বেলাল হোসেন,জহির (১৮)পিতা তাজু মিয়া,আব্দুর রহিম(৩৫)পিতা আলী আশ্রাফ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে।হামলায় গুরুতর আহত, আবুল কালাম আজাদ পাতাছড়া এলাকার সাবেক মেম্বার,মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের ছেলে,বর্তমানে আহত অবস্থায় রামগড় সরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা দিন অবস্থায় রয়েছেন।
আহত মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, রহমত উল্লাহ”র বাবা আমার দোকান থেকে কিছু মালামাল ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যান,ক্রয়কৃত মালামাল এর ভিতরে একটি চানাচুর ও ললিপপের প্যাকেট ছিলো,সেটা নাকি নরম হয়ে গেছে, রাত ৮টার সময় রহমত উল্লাহ আমার দোকানে এসে হুমকি স্বরুপ বলে আমার আব্বাকে কেন নষ্ট মেয়াদ বিহীন চানাচুর ও ললিপপ দিয়েছেন, সে আমাকে অকাত্ব ভাষায় গালাগালি করেছে,আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম,যে যদি চানাচুর ও ললিপপ নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে তা পরিবর্তন করে নিয়ে যাও, তাহলে তো ঝামেলা শেষ,এই কথা বলার সাথে সাথে রহমত উল্লাহ ও তার সহযোগীরা আমার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও আমাকে সবাই মিলে এলোপাথাড়ি মারধর করে মাথা পাঠিয়ে আমার দোকান ক্যাশে থাকা নগদ ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন হুমকি দেন, আমার পরিবারের লোক জন আমাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিতে চাইলে হামলাকারীরা রাস্তায় বাঁধা দেয়,এক পযায়ে আমি নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে, রামগড় থানার এসআই মহসিন মোস্তফার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে রামগড় হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। এবিষয়ে আমি রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
আবুল কালাম আজাদের মা মোশরেফা কামাল বলেন সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে রহমত সহ তার সহযোগীরা আমার ছেলে ওপর হামলা চালিয়ে দোকানের মালামাল ভাংচুর করে,ঘটনার সময় এলাকার মেম্বার মহিউদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি তিনি দেখেছেন এবং ওদের ভেজাল না করার জন্যে বাঁধা দিয়েছে,কিন্তু হামলাকারীরা মেম্বারের কথাও সুনেননি।
২ নং পাতাছড়া ইউপি”র স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, জানান রহমত আলী” র সাথে আবুল কালাম আজাদের দোকানের মালামাল বিক্রি নিয়ে তর্কাতর্কি হয়,এক পযায়ে দুইজনের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এঘটনায় আজাদ ইউপি চেয়ারম্যান”কে ফোন দিলে,চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি দেখতে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়ের সমস্যার কথা শুনি এবং সমাদানের চেষ্টাও করেছি,তবে উভয়ে আমার কথা মানেনি,পরে আমি বিষয়টি আবার চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন আজাদের দোকান থেকে আমার আব্বা আমার ছেলে মেয়েদের জন্যে চানাচুর,বিস্কুট ললিপপ কিনে নিয়ে যান, বাসায় নিয়ে খাওয়ার সময় দেখি ঐগুলোর মেয়াদ নেই,আমি সন্ধার সময় দোকানে গিয়ে আজাদ কে বিষয়টি জানালে তিনি আমার ওপর উত্তেজিত হয়ে যান, পরে তর্কাতর্কি হয়, এছাড়া বড় কোন সমস্যা হয়নি। রহমত উল্লাহ মারধর, দোকান ভাংচুরের ও নগদ টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
রামগড় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মহসিন জানান ৯৯৯ থেকে একটি ফোন পেয়ে লোকেশন অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে মারামারি বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে, ঘটনাস্থল থেকে আবুল কালাম আজাদ কে চিকিৎসার জন্যে রামগড় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর ৬ অক্টোবর আবুল কালাম আজাদ রামগড় থানা একটি মামলা করেন,মামলা নং০২/২২ ধারা ৩২৩/৩২৫/৩০৭ /৪৮/৪২৭/৩৮০/১০৯.৪/৫০৬ (২)প্যানাল কোর্ড রুজু করা হয়।
Leave a Reply