চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গাতে হাত-পা বাঁধা শিলা সিনেমা হলের মালিক নজির উদ্দিন(৭০) ও স্ত্রী ফরিদা বেগম(৬০) হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার বেলা ১১ঃ০০ টার সময় আলমডাঙ্গা পৌর এলাকায় পুরাতন বাজার পাড়ার বাসিন্দা নজির উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম তার নিজ বাড়ি হতে তাদের দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নজির একটি মাত্র কন্যা সন্তানের জনক।
পুলিশ ধারণা করছে গত রাত ১১ঃ০০ টা থেকে ১২ টার মধ্যে স্বামী স্ত্রী উভয়কে হত্যা করা হতে পারে । কে বা কারা হত্যা করেছে এ বিষয়ে তথ্য উদঘাটন চলছে।
নিহতের কন্যা সন্তান দিলারা পারভীন শিলা বলেন, গত রাতে সর্বশেষ দশটার সময় মোবাইল ফোনে মায়ের সাথে কথা হয়েছে।তারপরে সকালে মায়ের নাম্বারে ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করাতে আমার স্বামী মোঃ ওহেদুজ্জামানকে আমার বাপের বাড়ি পাঠায়। স্বামী গেটে তালা দেখে আবার বাড়ি ফিরে আসে। তিনি গেট বন্ধ দেখে বলে হয়তো ডাক্তারের কাছে যেতে পারে। কিন্তু ফোন না ধরাতে আমার মনের ভিতর সন্দেহ হলে আমি আবার বাপের বাড়িতে এসে দেখি গেট বন্ধ।পরে ডাকাডাকি করে গেট না খুলাতে স্থানীয়দের সহায়তায় বাড়ির প্রাচিল টপকে মা বাবার উভয়রের লাশ দেখতে পাই।
তিনি বলেন আমার পিতা-মাতা যে জমিতে বসবাস করতেছিল সেটি সরকারি জমি ডিসিআর কাটা। জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ শিব বাবুদের সাথে মামলা চলছে এবং পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী সাথে কিছুদিন আগে রাস্তা নিয়ে একটু ঝগড়া হয়। কে বা কাহারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংবাদিকদের বলেন খবর পেয়েই তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিমসহ সিআইডি, পিবিআই, র্যাবসহ সরকারি অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা । হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে নজির উদ্দিনকে হাত-পা বেঁধে বাথরুমের মধ্যে শ্বাসরোধে এবং স্ত্রীকে রুমের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয়েছে।
এদিকে আলমডাঙ্গাতে এক সপ্তার ব্যবধানে তিনটি খুন হওয়াতে আলমডাঙ্গা বাসির মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
Leave a Reply