পটুয়াখালীর দুমকিতে একটি মাদ্রাসায় ভাইস-প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে আরবি প্রভাষকের হাতে অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী শাহ জালাল গুরুতর জখম হয়েছেন।
গুরুতর আহত অধ্যক্ষকে প্রথমে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলেও অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগষ্ট ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রিজের কাছে রাস্তার ওপরে এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী শাহ জালাল তার মাদরাসায় ভাইস- প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
উক্ত নিয়োগকে কেন্দ্র করে সাবেক অধ্যক্ষ মাও. আঃ মতিন এর ছেলে অত্র মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাও. মজিবুর রহমান ওরফে কামাল ও বর্তমান অধ্যক্ষের মাঝে বিরোধ দেখা দেয় এবং এ নিয়ে মামলা হয়।
এছাড়াও জানা যায়, মাও. শাহজালাল কাজী অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ এবং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজমান।
গত শনিবার (২৭ আগষ্ট) অনুপস্থিত থাকায় আরবী প্রভাষক মাও: মো. মজিবুর রহমান কামালকে শো’কজ করেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ কাজী শাহজালাল। অধ্যক্ষ মাও. কাজী মো. শাহজালাল মাদ্রাসা গেটে পৌঁছলে ক্ষিপ্ত হয়ে আরবি প্রভাষক মজিবুর রহমান ওরফে কামাল অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এলোপাথারি কিল, ঘুষি মেরে, পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। খবর পেয়ে মাদ্রাসার সহকর্মীরা আহত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র মাদরাসার একজন শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উক্ত ঘটনার পর পরই তার (মাও. মজিবুর রহমান) ছেলে রইস উদ্দিনের নেতৃত্বে লোকজন নিয়ে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ঢুকে অধ্যক্ষের টেবিলের গ্লাস, আসবাবপত্র ভাংচুর ও কাগজপত্র তছনছ করেছে।
আরবি প্রভাষক মাও: মজিবুর রহমান ওরফে কামাল বলেন, ২০০৫ সালে তৎকালীন সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার দাস আমাকে নিয়োগ দেন। তা সত্ত্বেও বর্তমান অধ্যক্ষ ২০২১ সালের সর্বশেষ বেসরকারি স্কুল কলেজ এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুসরণ করে ভাইস-প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি দেন।
জখমের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত ২০ আগষ্ট আমার ভাগ্নে মারা যায়। আমি অধ্যক্ষের টেবিলে আবেদন রেখে আসি। কিন্তু আমার আবেদন বিলুপ্ত করে আমাকে শোকজ দেয়। আমি উক্ত শোকজের জবাব দিলেও ২ য় দফায় শোকজ দেয়। সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সে ক্ষিপ্ত হয় এবং আমার সাথে হাতাহাতি হয়। আমিও আহত হয়েছি।
দুমকি থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় মাদ্রসার অফিস সহকারি মাওলানা মোহেব্বুল্লাহ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply