পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন এলাকায় বৃক্ষ নিধন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বৃক্ষ নিধনের পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন এলাকার মতো আলীকদম উপজেলায় বৃক্ষ নিধন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আলীকদম উপজেলায় পাহাড়ি জনপদ গুলো উজাড় হয়ে যাচ্ছে। জুমচাষ ও বৃক্ষ নিধন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে আলীকদম উপজেলার, রোয়াম্ভু, মংচ পাড়া, বাবু পাড়া, কুরুকপাতা, পোয়ামুহুরী ও থানচি সড়কে এক সময় যেসব বৃক্ষ চোখে পড়তো এখন সব মরুভূমির রুপ ধারণ করেছে। দেখলে মনে হই পাহাড়ি মরুভূমি। এসব পাহাড়ি মরুভূমি গুলো হয়ে পড়েছে জীবশূণ্য। এসব দেখার কেউ নাই। যার ফলে প্রাকৃতীক সম্পদ দিনের পর দিন বিনিষ্ঠ হচ্ছে। যার ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীন। প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকারি প্রদক্ষেপ থাকলেও কোন প্রদেক্ষেপ বাস্তবায়িত হচ্ছে না। যার ফলে পাহাড়ে বৃক্ষ নিধন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এসব বৃক্ষ নিধন দমন না হলে
আগামী ১০ বছর পর পার্বত্য চট্টগ্রাম বনায়ন শূণ্য হয়ে পড়বে। যার ফলে মানুষের বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
বৃক্ষ বাতাস থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড শোষণ করে গ্রিন হাউস ইফেক্টের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অপরদিকে বাতাসে অক্সিজেন যোগ করে বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত বজায় রাখতে সাহায্য করে। এভাবে বৃক্ষ বায়ুদূষণ কম করে বাতাস বিশুদ্ধ রাখে। বৃক্ষ বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে। পাহড়ি জনপদে যতটুকু বৃষ্টি হওয়া দরকার ততটুকু বৃষ্টি হচ্ছে না। এর একমাত্র কারণ অতিরিক্ত বৃক্ষ নিধন। বৃক্ষ নিধন বন্ধের জন্য দ্রুত সরকারি প্রদক্ষেপ গ্রহন করা দরকার। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বৃক্ষ নিধন দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
Leave a Reply