নওগাঁর মান্দায় মাদক ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান (৪৫) কে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার মান্দা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মাদকসহ আটককৃত আনিছুরের ছেলে নাঈম আহমেদ ও তার স্ত্রী নারগিস আক্তার । তারা মাদক মামলা থেকে বাঁচতে মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী খাজা শাহাবুদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যবসায়ী।
ভূক্তভোগী খাজা শাহাবুদ্দিন কুসুস্বা ইউপির কিত্তলী গ্রামের মৃত নজীবুল্লার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে খাজা শাহাবুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৯ আগষ্ট চক্কানু গ্রামের সাহেব আলী ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান সংসদ সদস্য মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিকের ছবি আমার দোকান ঘরের দরজায় টাঙ্গিয়ে আ.লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ঘরে তালা দেয়। সেই সাথে বেআইনি জনতায় সংঘবদ্ধ হয়ে এক পার্যায়ে দোকান ঘর দখলের চেষ্টা করেন। তখন নিরুপায় হয়ে আমার ছেলে শরিফ উদ্দিন ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশি সহযোগিতা চায়। পরে মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনাস্থলে পৌছালে, বেআইনি জনতায় সংঘবদ্ধ দখলবাজ, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পুলিশ ঘটনার বিষয়টি জানতে মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গেলে, চোলাই মদের সন্ধান পায়। পরে তার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ৭০ বোতল চোলাই মদ সহ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। আটকের পর আমার ছেলে শরিফ উদ্দিন থানায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন থেকে দোকান ঘরের জমি পত্তন নিয়ে ব্যবসা করে আসছি। আমার দোকান ঘরের জমির কেস নম্বর ১৬/৯৯। ২০ বর্গমিটার জমি নিয়মিত সরকারের ঘরে খাজনা দিয়ে আসছি। হঠাৎ করে তারা দোকান ঘরের জন্য দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। সে মাদক ব্যবসায়ীর তার বাড়ি থেকে পুলিশ মাদক উদ্ধার করেছে। এঘটনায় বাঁচতে এখন তারা পুলিশসহ আমাদের উপর দোষারোপ করছে। এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
এ ব্যাপারে থানার উপ-পরিদর্শক জানাতুল ফেরদৌস জানান, দোকান ঘর নিয়ে সমস্যা। ৯৯৯ ফোন দেওয়ার পর সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানতে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে না পেয়ে আনিছুরের বাড়িতে গেলে মাদকের উপস্থিতি দেখতে পাই। এরপর মানুষের উপস্থিতিতে সেখানে ৭০ বোতল চোলাই মদ জব্দ করি। এই জন্য বাড়ির মালিক অভিযুক্ত আনিছুর রহমানসহ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। মাদক উদ্ধারের সময় ভিডিও ও ছবি তোলা হয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, দোকান ঘরে জোরপূর্বক তালা দেওয়ার ঘটনায় ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত আনিছুরকে না পেয়ে তার বাড়িতে রায় পুলিশ। সেখানে চোলাই মদসহ তাদের ৪ জনকে আটক করেন। পরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
তবে পুলিশ যোগসাজসে তাদেরকে আটক করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
Leave a Reply