মোঃ মিন্টু শেখ : বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে একজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনায় শহীদুল ইসলাম ও তানজিনা আক্তার নামে দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সদর দফতর।
আজ শনিবার (১১ মে) বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া বিভাগ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে।
এর আগে এ বিষয়ে মাদারীপুর পুলিশ সুপার বরাবরে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচারিত হয়।
পুলিশ সদর দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়, তানজিনা ও শহীদুল মাদারীপুরের মোস্তফাপুর ছোট বাড্ডা গ্রামের রতন দাসের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ১৪ লাখ টাকা নেন। এ নিয়ে বিরুদ্ধে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন রতন দাস। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে রতন দাসের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ইতোমধ্যে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ায় গত ৯ মে অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাস একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তারের সঙ্গে। পরে পুলিশ নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার পুলিশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও প্রদান করেন। তানজিলা আক্তারের নামে কমিউনিটি ব্যাংকের চেকে তানজিলার স্বাক্ষর ও তারিখ রয়েছে।
এদিকে টাকা লেনদেনসংক্রান্ত একটি ভিডিও এসেছে এই প্রতিবেদকের কাছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তার একটি দোকানে অবস্থান করে এক হাজার টাকার কয়েকটি বান্ডিল নিচ্ছেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার পর রেজাল্ট দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পেয়ে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার বরাবর।
চাকরিপ্রত্যাশী রতন দাস গণমাধ্যমকে বলেন, আমাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছেন তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু তিনি চাকরি দিতে পারেননি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করেন। টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন রকমের টালবাহানা করেন। আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিলেন। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে তিনি আমার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। এই ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত।
অভিযোগকারী রতন দাসের বাবা রবিদাস বলেন, আমি ধারদেনা করে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম তানজিলার কাছে। তিনি চাকরি দিতে পারেননি। এখনো টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। তাই এসপি অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।
Leave a Reply