স্টাফ রিপোর্টার : নারী প্রতারক চক্র এরা ঢাকা ও গাজীপুর জেলায় বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাসা বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাদের রুপ ও সুন্দর চেহারা দিয়ে ভাই বোনের সম্পর্ক তৈরি করে। এর পর থেকে শুরু হয় সেই সকল ভাইদের ফ্যামিলিদের সাথে ওঠাবসা। বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য ভাই কে পরিচয় দিয়ে থাকেন স্বামী হিসেবে।
এ সকল চক্রের সাথে রয়েছে ১০-১৫ জন ছেলে। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে গাজীপুর জেলার টঙ্গী উত্তর আউচপাড়া, নৈমুদ্দিন মোল্লা রোড, তারাটেক্স গার্মেন্টস সংলগ্ন।একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন সেই সুন্দরী নারী নামঃ তার জেরিন আক্তার শুধু তাই নয়। তিনি মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসাও করিয়া থাকেন। রাজনীতিবিদদের কেও হাতে রেখে তাদের কাছেও সাপ্লাই দিতেন এই সকল পতিতা নারী।
জেরিন আক্তারের দেশের বাড়ি বরিশাল জেলায় স্বরূপকাঠি থানা এলাকায়। ও তার স্বামী পরিচয়দানকারী এরশাদ নগরের বাসিন্দা মিজানুর রহমানের সাথে বিয়ে ছাড়া বসবাস করতেন তিনি। এবং কি তার চাচাতো বোন কে দেশের বাড়ি থেকে এনে তারই সক্রিয় দলের সাথে যোগদান করিয়েছেন তিনি। তার বোন কে কি সেই পাতানো ভাই মাসুদ কে ফোন করিয়ে তার সেই ছোট বোন অসুস্থতার কথা বলে। ফোন করে ডেকে এনে বাসায় আটক করে। পরিকল্পিত ভাবে বাসার ভিতর আটক করিয়া রাখে এবং তাহার হুকুমে অজ্ঞাত নামা ৬/৭ জন ছেলে তাহার বাসায় আসিয়া আমাকে বিভিন্ন ধরনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া। দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া তাহাকে এলোপাথারী মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা যখম করে।
বিবাদীগন টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আমার সাথে উক্ত কার্যকালাপ ঘটাইয়া আমার সাথে থাকা নগদ ১,৪৭,০০০/- (এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার) টাকা ও ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য প্রায় ১,১০,০০০/- (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিবাদীগনের মধ্যে অজ্ঞাত নামা একজন বিবাদী নিজেকে স্থানীয় কাউন্সিলর পরিচয় দিয়ে। এবং তাদের দলের লোক জন বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা পরিচয়ে দিয়ে থাকেন ।
দীর্ঘ ৩ঘন্টা তাহার বাসার ভিতর আটক করিয়া রাখিয়া রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করিয়া আমাকে ছেড়ে দিলে আমার প্রাণে বাঁচার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থল ত্যাগ করিয়া চলিয়া আসি। উল্লেখ্য থাকে যে, বিবাদীগন আমাকে উক্ত নির্যাতনের সময় তাহাদের মোবাইল ফোনে ভিডিও ও ছবি সংরক্ষন করিয়া রাখে। যাহা ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্ট্যারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন সহ যেকোন ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি করিতে পারে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন তিনি বলেন। একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply