মোঃ মিন্টু শেখ স্টাফ রিপোর্টার : সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনায় এ আহ্বান জানান তিনি।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইন নয়, যেকোনো আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না, কোনো আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক।
সাংবাদিকতায় যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলেও জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতায় যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে, তখনই বলা হবে, সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে, এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সাথে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার বিষয়টির সমাধান করবে।
আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পেশাদার সাংবাদিকদের দাবি, সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক, একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক, একটা সংজ্ঞায়ন থাকুক—কে সাংবাদিক, কে সাংবাদিক না। সাংবাদিকরাই বলছেন, সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত। কেন বলছেন? কারণ, অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। তাদের দ্বারা সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু, যখনই সরকার বলবে, তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আবার আরেক গোষ্ঠী বলবে, তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের। এজন্য আপনাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে, বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি। তথ্য এবং অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
তিনি যোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা কর্মশালায় অংশ নেন।
Wow, awesome blog layout! How long have you ever been blogging for?
you made running a blog look easy. The whole look of your web site is fantastic, as smartly as
the content material! You can see similar:
e-commerce and here ecommerce