মোঃ ফখরুল হাসান স্টাফ রিপোটার সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একটি মামলার আসামীরা নিজেদের বাড়ী ফিরতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
এরা মামলায় বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে আছেন। মামলার মোট আসামী ৪৩ জন। এর মধ্যে ৩ জন হাজতে আছেন। আর বাকী ৪০জন আসামী বিজ্ঞ আদালত থেকে এ মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু এখন তাড়া বাদীপক্ষের ভয়ে বাড়ী ফিরতে সাহস না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় তাদের আত্তীয় স্বজনদের বাড়িতে থাকছেন বলে জানা গেছে।
এঘটনাটি ঘটেছে উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া ও লংজানি গ্রামে। গত বছরের ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে আটটার দিকে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বেশ কজনের মারপিট হামলায় পিতা ও ছেলে দুজন নিহত হন। নিহতরা হলেন, পিতা মোশারফ হোসেন (৭৮) ও ছেলে জামাল হোসেন (৪৮)। সেদিন ঘটনাস্থলেই জামাল হোসেন নিহত হন। আর ঘটনার চারদিন পরে পিতা মোশারফ হোসেন নিহত হন।
উল্লাপাড়া মডেল থানায় ঘটনার পরের দিন ২৪ এপ্রিল ২০২৩ইং তারিখে মোট ৪৩ জনকে আসামী করে নিহত মোশারফ হোসেনের ছেলে বাবলু হোসেন বাদী হয়ে একটি এজাহার দাখিল করেন। এরপর ৪৩ জনকে আসামী করে মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
মামলার তিনজন আসামী ঠান্ডু মোল্লা, আনছার আলী ও রুহুল আমিন সরকার জেল হাজতে আছেন।
বাকী ৪০ জন আসামীর সবাই বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এরা অনেকদিন থেকে বাড়ী ফিরতে পারছেন না। মামলার আসামী ফারুক মোল্লা, শাহজাহান প্রামানিক, ছামিউল, মিঠুন বলেন, মামলার আসামী ৪০ জনসহ আসামী নয় এমন আরো কজন বাদীপক্ষের ভয়ে নিজেদের বসত বাড়ীতে ফিরতে সাহস পাচ্ছেন না। আসামীদের প্রায় সবাই কৃষি পেশায় কাজ করতেন। ফসল আবাদের জমি ও বাড়ীঘর ছেড়ে তাদের সবাই পরিবারের লোকজন নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় থাকছেন।
মামলার বাদী বাবলু হোসেন বলেন, তিনি কিংবা তার পরিবারের কেউ আসামীদের কাউকে কিংবা অন্য কাউকে বাড়ী ফিরতে বাধা দিচ্ছেন না।
মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মক্কা বলেন, তিনি যেনেছেন আসামীরা জামিনে আছেন এবং তারা বাড়ী ফিরতে সাহস পাচ্ছেন না। আসামীদের বাড়ী ফিরতে পুলিশ প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নিতে কোন সহযোগিতা চাইলে চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দীকুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামীদের মধ্যে জেল হাজতে থাকা তিনজন ছাড়া বাকী সবাই বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে আছেন। এরা গ্রামের নিজেদের বসতবাড়ীতে ফিরে যাবেন এবং থাকবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। তাদেরকে বাড়ী ফিরতে কোনো বাধা কিংবা ভয় দেখানো হলে তা অন্যায় অবৈধ হবে।
Leave a Reply