শম্পা দাস ও সমরেশ রায় , কলকাতা :আজ ১লা জানুয়ারী ২০২৪ সোমবার, একদিকে সা্রা দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের ২৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হচ্ছে, অন্যদিকে সারা কলকাতার মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় জনসমুদ্র এবং সুন্দর আলোয় আলোকিত ও বিভিন্ন স্থানে মানুষের ঢল, নতুন বছরকে সুন্দরভাবে উপভোগ করছেন,
আজ সোমবার ২০২৪ এর প্রথম দিন, কলকাতার মহানগরীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলি সেজে উঠেছে ,তেমনি সকাল থেকেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটির দিন কাটাতে এবং একটু নতুন দিন কে আলাদাভাবে উপভোগ করতেই চলে এসেছেন কলকাতার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পার্ক থেকে শুরু করে খেলার মাঠ ,কোথাও বাদ নাই, শুধু ঘোড়ায় গা্ড়ীতেই নয়, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের আবদার কিছুটা হলেও পরিবারের লোকজন পূরণ করার চেষ্টা করছেন , কেউ বাচ্চাকে ঘোড়ার পিঠে চাপিয়ে একটু আনন্দ দিচ্ছেন, আবার কেউ তার বাচ্চা কে ঘুরন্ত গাড়ির মধ্যে বসিয়ে ঘুরিয়ে নিচ্ছেন ,একটা আলাদা ইমেজ তৈরি হয়েছে মাঠগুলিতে, তাহার সাথে সাথে খাওয়া-দাওয়া, হোটেল থেকে রেস্তোরাঁ কোথাও বাদ নাই, কেউ কেউ বলেন আজ প্রথম দিন, একটু মুখের সাদ পাল্টাতে এসেছি, তাই আজকের দিনটিতে ছেলেমেয়েদের একটু আনন্দ দিতে ,তাদের পছন্দ সেই খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করছি।
একদিকে যেমন দর্শনীয় স্থানগুলি আলোর রসনায় সেজে উঠেছে , ঠিক তেমনি ছোট ছোট শিশুরা মেতে উঠেছে বিভিন্ন রকমের খেলার মধ্য দিয়ে ও দেখার মধ্য দিয়ে, অন্যদিকে মাঝে মাঝেই নতুন বছরে বাজির আওয়াজ ভেসে বেড়াচ্ছে সারা কলকাতায়। আজও ব্রিগেড মাঠ থেকে শুরু করে ভিক্টোরিয়া, জাদুঘর ,চিড়িয়াখানা ,চার্চ, বিড়লা তারামণ্ডল কোথাও এতটুকু ফাঁকা নাই, সমস্ত জায়গাতেই লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে, এর সাথে সাথে পুলিশ প্রশাসনের অফিসারেরা হিমশিম খাচ্ছেন রাস্তার মোড় গুলিতে, কিভাবে দর্শনার্থীদের নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে পারাপার করবেন।
বেশ কয়েকজন ছোট্ট শিশু জানালেন আজ আমরা খুব এনজয় করেছি। অনেক কিছু দেখেছি ,আরো দেখব এবং অনেক কিছু খেয়েছি ,মা ও বাবা আমাদেরকে আজকে অনেক কিছু খাইয়েছে ,আমরা যা খেতে চেয়েছি তাই খাইয়েছে এবং আমরা ঘড়ো চেপেছি, দোলনায়য চেপেছি, বেলুন কিনেছি, আরো মা আমাদের কিনে দেবেন বলেছে, আজ আমরা খুব আনন্দ করছি বাবা মায়ের সাথে, ঘুরতে এসে আমাদের খুব ভালো লাগছে।
এর সাথে সাথে এই ছোট ছোট শিশুর বাবা-মা জানালেন, সব সময় বেরোনোর সম্ভব হয় না কারণ এখন ছেলেমেয়েদের যা পড়ার চাপ তাই আজ ছুটি থাকায় সবাই একসাথে আনন্দ করতে বেরিয়েছি। এবং ছেলে মেয়েদের চেষ্টা করেছি কিছুটা আনন্দ দেওয়ার, তারপরে আবার সেই তারা পড়ার সোনার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়বে, আর নতুন দিন মানেই কিছু তো একটু খেতে হবে, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে এসেছি, তাই ওরা যা বায়না করছে, একসাথে ভাগ করে নিচ্ছি, যে যেমনটা খেতে চায়, এর সাথে সাথে জানালেন, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যেভাবে টিকিটের দাম বাড়ছে ,তাতে সাধারণ ঘরের মানুষের পক্ষে সবকিছু দেখা সম্ভব নয়।
Leave a Reply