মোহাম্মদ আজিজ উল্লাহ, বান্দরবান প্রতিনিধি: নাঈম উদ্দিন রোয়াংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সেনিটারি ইন্সপেক্টর। সরকারী চাকুরীজীবী হওয়া সত্ত্বেও প্রকাশ্যে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কাটান তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি স্টেশনের কাছে পাহাড়ের ঢালে একটি ঘর বেঁধেছেন তিনি। সেই ঘরের জায়গা প্রশস্ত করতে দিনে রাতে কাটছেন পাহাড়। একসময় পাহাড়ের পাশে দাঁড়ানো না গেলেও বর্তমানে কাটতে কাটতে ৮শতকেরও বেশি জায়গা সমান করেছে। ইতিমধ্যে এ বসত ঘরের কয়েকটি কক্ষ ভাড়া দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়টি কাটতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ভাড়াটিয়াদেরও উত্যাক্ত করছেন তিনি। দিনে রাতে সমানে শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কাটান। হৈচৈ করে রাতে পাহাড় কাটার কারণে অনেকের ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে। বৃষ্টি পড়লে পাহাড় ধসের অজুহাতে আরো বেশি মাটি কাটার সুযোগ নেন। এসময় তারা পাহাড় কাটার দায়ে সরকারী এ চাকুরীজীবীর শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে রোয়াংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সেনিটারি ইন্সপেক্টর নাঈম উদ্দিনকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে পাহাড় কাটার বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply