ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ক্ষতবিক্ষত মরদেহের পাশে পাওয়া জুতায় মিলল খুনির সন্ধান, দুই জোড়া জুতা, হত্যায় ব্যবহৃত দা, মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন। এক জোড়া জুতা নিহতের, অপর জোড়া খুনির বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। জুতার মালিকের খোঁজে নেমে তারা প্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হয়, জুতা জোড়া ছিল হত্যার শিকার সোহেলের প্রতিবেশী রায়হানের। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার এমন তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
জুতার সূত্র ধরে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ব্যবসায়ী সোহেল হত্যার একমাত্র আসামি রায়হানকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমড়াশাসন গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২৫)।
পুলিশ জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের চালমহাল এলাকায় বিকাশের ব্যবসা ছিল সোহেলের। শনিবার সকালে সরিষা ইউনিয়নের কুর্শিপাড়া গ্রামের কাঁচামাটিয়া নদীর পাড়ে ক্ষতবিক্ষত তার লাশ পাওয়া যায় । এর পাশ থেকে দুই জোড়া জুতা পেয়েছিল পুলিশ।
সে সূত্রে রাতে কাজী রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামি একই গ্রামের কাজী খোকনের ছেলে। সে পেশায় টাইলস মিস্ত্রি। এক মাস আগে বিয়ে করেছে। সোহেল হত্যার ঘটনায় তাঁর চাচা আবু সিদ্দিক অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
এ মামলায় রোববার আদালতে স্বীকারোক্তি-মূলক জবানবন্দি দিয়েছে রায়হান। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রায়হানের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বন্ধুত্বের সম্পর্কে দু’মাস আগে সোহেলের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল রায়হান।
সে টাকা পুরোটা দিলেও সুদের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন সোহেল। কিডনি বিক্রি করে হলেও টাকা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। উপায় না পেয়ে ক্ষুব্ধ রায়হান হত্যার পরিকল্পনা করে। ফুফুর বাড়ি থেকে টাকা দেওয়ার কথা বলে সোহেলকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে রায়হান। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে রোববার বিকেলে দাফন করা হয়েছে।
তাঁর স্ত্রী মৌসুমী আক্তার বলেন,আমি হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। ময়মনসিংহ ডিবির ওসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, লাশের পাশে পাওয়া জুতা ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টাকার জন্য চাপ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
Leave a Reply