দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়।
সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ-র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড ও আনসার ব্যাটালিয়নও এই ১৩ দিন নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবে।
পরিপত্রে বলা হয়, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট গার্ড নিয়োগ করা এবং স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্ত ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
‘সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই সংশ্লিষ্ট সবার নিরপেক্ষতা জনগণের নিকট দৃশ্যমান হবে।’
পরিপত্রে জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনি এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার/সাধারণ আনসার ও ভিডিপি এবং গ্রাম পুলিশ মোতায়েনের হিসাব দেয়া হয়।
মহানগর বা মেট্রোপলিটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিয়ে পরিপত্রে জানানো হয়, মহানগরভুক্ত সাধারণ এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকবেন তিনজন সশস্ত্র পুলিশ সদস্য, একজন সশস্ত্র অঙ্গীভূত আনসার/সাধারণ আনসার (পিসি), অস্ত্র/লাঠিসহ একজন অঙ্গীভূত আনসার/সাধারণ আনসার (এপিসি), লাঠিসহ ১০ জন (চার নারী ও ছয় পুরুষ) অঙ্গীভূত আনসার/সাধারণ আনসার ও ভিডিপি।
মহানগরভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকবেন চারজন সশস্ত্র পুলিশ সদস্য, একজন সশস্ত্র অঙ্গীভূত আনসার/সাধারণ আনসার (পিসি), অস্ত্র/লাঠিসহ একজন অঙ্গীভূত আনসার/সাধারণ আনসার (এপিসি) এবং লাঠিসহ ১০ জন (চার নারী ও ছয় পুরুষ) অঙ্গীভূত আনসার/সাধারণ আনসার ও ভিডিপি।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়নের চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে পাঠানো হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। এখন চলছে নির্বাচনি প্রচারণা। নির্দেশনা অনুযায়ী, ভোট গ্রহণ শুরুর আগের ৪৮ ঘণ্টা ও পরের ৪৮ ঘণ্টা মিছিল-মিটিং ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।
Leave a Reply