মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে সৎমায়ের সহযোগিতায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী কিশোরীর দাদি বাদি হয়ে ওই কিশোরীর সৎমাসহ ৪ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার পর কিশোরীর সৎমা নিপা আক্তার (৩০), ধর্ষক আকবর হোসেন (৩২) ও সহযোগী বক্কর মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। অপর আসামী শহিদুল ইসলাম (২০) পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খলশী ইউনিয়নের খলশী গ্রামে সৎমা ও বাবার সঙ্গে বসবাস করতো ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী (১৩)। প্রায় এক যুগ আগে তার মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা দ্বিতীয় বিবাহ করেন। বিবাহের পর থেকেই ওই বাড়ীতে বিভিন্ন বেগানা পুরুষ আসা যাওয়া করতো। এ নিয়ে আসামী নিপা আক্তারকে নিষেধ করলেও সে কর্ণপাত করেনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী ওই কিশোরী তার পিতার বসতবাড়ীর পশ্চিম পাশের টিনের ছাপড়া ঘরে রাত্রিতে ঘুমিয়ে পড়ে। দিবাগত রাত আনুমানিক সোয়া ১২টার দিকে আসামী আকবর হোসেন, শহিদুল ইসলাম এবং বক্কর মিয়া অপর আসামী নিপার সাথে দেখা করতে আসে। তখন ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে আসামী আকবর হোসেন ওই কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পর ওই কিশোরী ঘরে প্রবেশ করা মাত্র আসামী আকবর ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় অন্যান্য আসামীরা আকবরকে সহায়তা করে। এক পর্যায়ে আসামী আকবর হোসেন ওই কিশোরীর ঘর হতে বের হয়ে অপর দুই আসামী শহিদুল ইসলাম ও বক্কর মিয়াকে নিয়ে চলে যায়। এরপর ওই কিশোরী ঘটনার বিষয়ে যাতে কাউকে বলতে না পারে সেজন্য তাকে বাড়ির ভেতরেই তিন দিন কড়া নজড়দারীর মধ্যে রাখেন সৎমা নিপা আক্তার।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোরঞ্জন সরকার বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় সৎমা সহ তিন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply