তৌহিদুল ইসলাম সরকার, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের নান্দাইলে এবারের কোরবানির ঈদে হাট কাঁপাতে আসছে ২১ মণ ওজনের শান্ত প্রকৃতির কালো ঝন্টু।ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় জামাচ্ছেন শত শত উৎসুখ জনতা।
এর আকার,আকৃতিও দেখতে অনেক সুন্দর।এর দৈর্ঘ্য ৯ ফুট,উচ্চতা ৬ ফুট,ওজন ২১ মণ। আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ‘কালা ঝন্টু’র দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা।উপযুক্ত দাম পেলে বিক্রি করে দেবেন।
কালো রঙের গরুটির মালিকের নাম এরশাদ মিয়া। তিনি উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর পুত্র। রাজাপুর ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন তার বাড়ি। তার বাড়িতেই গরুটি লালন পালন করেছেন।
এরশাদ মিয়া জানান ৪ বছর ধরে গরুটি লালন পালন করেছেন তিনি।এতে ‘কালো ঝন্টুর পেছনে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি মালিকের। ‘কালা ঝন্টু’ খুব শান্ত স্বভাবের। তার কোনো রাগ নেই।কারও দিকে তেড়েও আসে না। ষাড়টির পুরো শরীর কালো রংয়ের বলে নামকরণ করা হয়েছে ‘কালো ঝন্টু’।আকর্ষণীয় এই ষাঁড় দেখতে প্রতিদিনই লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন।এই ষাঁড়টি যখন তার সীনা টান করে দাঁড়ায় তখন দেখে মনে হয় হাতি তেড়ে আসছে।
জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে নিজের গাভী থেকে এই বাছুর জন্ম নেয়।এরপর থেকে এরশাদ মিয়া আদর-যত্ন করে বড় করছেন ষাঁড়টি।তিনি নিজের সন্তানের মতো বড় করতে পরিশ্রম করছেন। নিজের থাকার ঘরে তিনি ‘কালা ঝন্টু’কে রেখেছেন। রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা ইলেকট্রিক ফ্যানের সুব্যবস্থা।
খাবারের ব্যাপারেও আলাদা যত্ন নিয়েছেন। সম্পূর্ন দেশীয় পদ্ধতিতে প্রতিদিন তিনি খাবার দিয়েছেন গম,ভুট্টা, ছোলা,সবুজ ঘাস,ফল,ধানের কুঁড়া, শুকনো খড়, কাঁচা ঘাস, খৈল ও খুদ।গরু দেখতে আসা খিজির খা বলেন, ‘বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে এসেছি। সত্যিই অনেক বড় গরু এটি।
এরশাদ মিয়ার স্ত্রী শাহনাজ পারভিন বলেন, আমারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনে ষাঁড়কে চার বছর ধরে লালন-পালন করছি।নিজের সন্তানের মতোই অনেক যত্ন করে কালা ঝন্টুকে লালন পালন করছি। এখন উপযুক্ত দাম পেলে আমরা খুশী হবো।
‘কালো ঝন্টু’র মালিক এরশাদ মিয়া জানান, নিজের সন্তানের মতোই অনেক যত্ন করে আমি আমার ষাঁড়কে চার বছর ধরে লালন-পালন করছি।উপযুক্ত দাম পেলে ‘কালো ঝন্টু’কে বাড়ি থেকেই বিক্রি করব। তিনি বলেন,একে দেখতে ও ক্রয় করতে আশপাশের উপজেলার অনেক ক্রেতাই আসছেন।
Leave a Reply