আলী জাবেদ মান্না , বিশেষ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে রাস্তায় বিয়ের গেইট নির্মানকে কেন্দ্র করে বন্দুক যুদ্ধে ও রক্তক্ষয়ী ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তন্ত ১৫ জন আহত হয়েছেন৷ আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ১১ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ বাকীদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে৷(০৬ জুন) মঙ্গলবার সকালে সংঘর্ষ হয়েছে ৷ আহতরা হলেন, বুরহানপুর গ্রামের গেদা মিয়ার পুত্র শরীফ মিয়া(৩৮), তৌলদ মিয়ার পুত্র রিজন মিয়া( ৪৭),আমিন উল্লার পুত্র সেকুল মিয়া (২৬), একই গ্রামের তুহিন মিয়া (৩৩), সাইফুর রহমান (৩৫), আব্দুল হাদী (৫৫), শামীম মিয়া (৪২),দিদার মিয়া (৩০), শানুর মিয়া (৪২) দিলাওর মিয়া (৪০), আকিনুর (৪০) ও গেদা মিয়া স্ত্রী রাহিমা চৌধুরী (২৮) সহ অন্তত ১৫ জন৷ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামের গেদা মিয়ার পুত্র রাহিম মিয়ার সহিত সুনামগঞ্জ জেলার জনৈক ব্যক্তির কন্যার আগামী ৯ জুন বিবাহের দিনধার্য্য করা হয়৷ এ বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাহিম মিয়ার লোকজন বাড়ীর সামনে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ৫টি অস্থায়ী গেইট নির্মান করেন৷ এর মধ্যে একটি গেইট গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাকির মিয়ার বাড়ীর সামনে বাঁশ ও বাহারী রংয়ের কাপড় দিয়ে বানানোর সময় বাধা প্রদান করেন জাকিরের লোকজন, তবে বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে রাহিম ও তার পক্ষের লোকজন গেইট নির্মান করেন উল্লেখিত স্থানে৷ এরই জের ধরে জাকির মিয়ার বাড়ীর সামনের গেইটটি ঘটনার সময় জাকিরের লোকজন ভাংচুর করে ফেলেন৷ এরই জেরধরে প্রথমে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহকারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হলে এক পর্যায়ে দু'পক্ষের লোকজনই আগ্নেয়াস্ত্র ( বন্দুক) দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে উভয় পক্ষের লোকজন গুরুতে আহত হন ৷ একপর্যায়ে এলাকার লোকজন ও নবীগঞ্জ থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়৷ তবে এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানান৷ এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, আগ্নেয়াস্ত্র গুলো বৈধ কি অবৈধ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ গুলো এখনো বলা যাচ্ছে না,তবে তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে৷
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ গোলাম কিবরিয়া / ই-মেইল :daliysomoyaralo24info@gamil.com --(জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো প্রিন্ট পত্রিকার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই)
দৈনিক সময়ের আলো ২৪ডট কম