মোঃ ফিরোজ আহমেদ : সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন মাঠে রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধানের ভালো ফলনে খুশী কৃষকেরা। ধান ক্রয় সংগ্রহ ধরা হয়েছে ৪২২ মেট্রিক টন। আর চাউল ক্রয় সংগ্রহ ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন।
জানা যায়, উল্লাপাড়ায় এ মৌসুমে ১১ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের সরকারি লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৬৫ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। উপজেলার সলঙ্গা, হাটিকুমরুল, রামকৃষ্ণপুর, বড়হর ইউনিয়ন এলাকায় প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের নিজস্ব বীজতলা করেছিলেন কৃষকরা।
উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাটধারী, চড়িয়া শিকার, সলঙ্গা ইউনিয়নের গোজা, চরবেড়া, আরো বিভিন্ন মাঠ এলাকায় রোপা আমন ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়ির আঙ্গিনায় নিয়ে মাড়াই করছেন।
পাটধারী গ্রামের কৃষক গোলবার আকন্দ জানান, এবারে ৮ বিঘা জমিতে বেশি হারে ফলনশীল রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন। এরমধ্যে প্রায় ৬ বিঘার ধান কাটা হয়েছে এবং ফলন ভালো হারে পাচ্ছে।
সলঙ্গা ইউনিয়নের গোজা মাঠে কৃষক আব্দুর রাজ্জাক এক বিঘা জমিতে ব্রি-৩৯ ধান আবাদ করেছেন। তিনি এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। উপজেলায় বিভিন্ন হাটে নতুন রোপা আমন ধান ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হচ্ছে। সলঙ্গা হাটে সোমবার ও বৃহস্পতিবার হাটবার ছাড়াও প্রতিদিন শত শত মণ ধান কেনাবেচা হচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, এবারের মৌসুমে কৃষকদের থেকে ৪২২ মেট্রিকটন রোপা আমন ধান ও ১ হাজার ১৪০ মেট্রিকটন রোপা আমন চাউল ক্রয় সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও ৪৪ টাকা কেজি চাউল দর বেঁধে দেয়া হয়েছে। ধান ক্রয় সংগ্রহ কৃষকদের কাছ থেকে করা হবে। আর চাউল চুক্তিবদ্ধ চাউলকল মালিকদের কাছ থেকে ক্রয় সংগ্রহ করা হবে। গত ২৩ নভেম্বর থেকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান ও চাউল ক্রয় করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান, কৃষকরা এখন আগ্রহ নিয়ে কম সময়ে ধান ঘরে উঠে এমন জাতের ধান আবাদ করছেন। তার বিভাগ থেকে কৃষকদের স্বল্প মেয়াদী জাতের ও বেশি হারে ফলনশীল নতুন জাতের ধানের আবাদ বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply