মোঃ গোলাম কিবরিয়া : সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। সংবাদপত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রের কোন স্তম্ভই পরস্পরের প্রতিপক্ষ নয়, বরং পরিপূরক। সাংবাদিকতা অবশ্যই একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা।
একজন সাংবাদিকের শতবাঁধা পেরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সত্যের সন্ধানে অবিচল থাকতে হয়।এটি অনেক ক্ষেত্রে নিজের জন্য নয়, বরং ব্যক্তিবিশেষ কিংবা কোন শ্রেণী বা প্রতিষ্ঠানের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। সে কারণেই এখন বহুল উচ্চারিত হচ্ছে অপসাংবাদিকতা।
যে সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক, এখন তাদেরকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানান মহলে । সাংবাদিকের কাজ মূলত রাষ্ট্রের নানা শ্রেণিপেশার মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের অন্যায় ও অনিয়ম অনুসন্ধান করে বিচক্ষণতার সাথে সত্য উন্মোচন করা। একজন সাংবাদিক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহের জন্য তৃষ্ণার্তক কাকের মতো এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকবে এটায় স্বাভাবিক ।
মহান এই পেশাকে কলুষিত করছে অপসাংবাদিকতা, যা ‘ভাড়াটে’ লোকের মতো পোশাক ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দেশের বড় বিপদ ডেকে আনছে যার ফলে পাঠক সমাজের কাছে সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে ।
একটা সাংবাদিক তার ক্ষুরধারা লেখনীর মাধ্যমে একটি সমাজকে বদলে দিতে পারে। কিন্তু কোথায় গেল সেই লেখনী। আসলেই কি সেই লেখক গড়ে উঠছে না, নাকি সুষ্ঠু পরিবেশ পাচ্ছে না? । কথায় আছে যে দেশে গুনিদের সম্মান নেয় সেই দেশে গুনি জম্মায় না। যুগ জামানা পাল্টে দিতে চাইনা অনেক জন, এক মানুষেই আনতে পারে জাতীর জাগরন।
আসলে বর্তমান সময়ে সাংবাদিকের শত্রু সাংবাদিকই পরিনত হচ্ছে। ইংরেজ ফিন্যান্সিয়ার স্যার টমাস গ্রেশাম বলেছিল নিকৃষ্ট মুদ্রা উউৎকৃষ্ট মুদ্রাকে বাজার থেকে বিতাড়িত করে। এটাও তার অন্যতম উদাহরণ হতে পারে।
আবার কোন কোন ক্ষেত্রে সাংবাদিকের পিঠে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছাপ সরাসরি পড়ে গেছে।বলা বাহুল্য এই পেশাকে কতিপয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তাদের দোষ ঢাকার জন্য যেকোন প্রতিষ্ঠান হতে পরিচয় পত্র তৈরী করে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে এবং প্রভাবও বিস্তার করে যাচ্ছে।যে কোন ব্যাক্তির রাজনৈতিক মতাদর্শ বা অনুগত্য থাকতে পারে, তাই বলে একজন সাংবাদিক সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়ালে সংবাদ কখনো বস্তুনিষ্ঠ হতে পারে না। ফলে গনমানুষের কাছে দিন দিন আস্থা হারিয়ে যায়।আবার কোন কোন ব্যাক্তিকে দেখা যায় যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কার্ড ম্যানেজ করে কার্ড প্রদর্শনে ব্যস্ত, রিপোর্ট তো দূরের কথা ।
আসলেই কি সাংবাদিকতা এমন হওয়া উচিত? চলুন দেখে আসি সাংবাদিক কে।
যিনি সংবাদ বহন করেন, পরিবেশন করেন, সংবাদপত্র, কিংবা গণমাধ্যমে যারা প্রতিনিয়ত লেখালেখি করে তারা প্রত্যেকেই সাংবাদিক। প্রচলিত গণমাধ্যমের বাইরেও এখন অনেক মাধ্যম আছে যেখানে এই সংবাদ পরিবেশনের কাজটি করে থাকেন অনেকে। যে যেখান থেকেই সংবাদ পরিবেশন করুক সেটা আলোচনার বিষয় নয়; বিষয় হচ্ছে সংবাদ পরিবেশনের সত্যতা, ন্যায়বোধ, সামাজিক প্রভাব, গ্রহণযোগ্যতা এবং বিবেকের দায়বোধ্যতা এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখা উচিৎ একজন সাংবাদিকের।
Wow, awesome blog structure! How long have you been running a blog for?
you made blogging glance easy. The entire look of
your website is excellent, let alone the content!
You can see similar: e-commerce and here
najlepszy sklep