মো: জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান : সুপ্ত পতিভা প্রকাশের আকাঙ্ক্ষা শিশু কাল থেকে লালন করে সকলের হৃদয়ে। কেউ পড়াশোনায় বিদ্বান হয়ে উঠতে চায়,আবার কারও পাইলট'ইন্জিনিয়ার,ডাক্তার,শিল্পি ইত্যাদি হওয়ার শখ।কারও আবার লেখক,কবি,সাহিত্যিক হওয়ার স্বপ্ন।
আজ আমার লেখক হওয়ার গল্পটা পাঠকদের সামনে আলোকপাত করছি।শিশু কালে দেখছি আমার আপু মাদ্রাসা থেক এসে বলতেন কামাল স্যার আজ আমাদেরকে স্যার এর লেখক হয়ে উঠার গল্প বলেছে।আপু আবার আমাদের স্যার এর গল্পটা আলোচনা করতেন তখনই আমি অনুপ্রানিত হতাম।যখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি, তখন আমি কামাল স্যার এর ক্লাস পাই।একদিন ক্লাসে স্যার লেখক হয়ে উঠার সাধনার কথা বলেন,তখন আমি ভাবতাম আমিও যাদি এমনি ভাবে লেখক হতে পারতাম।সেই থেকে আমার সাধনা শুরু। এরপর তো স্যার এর পর্ব এড়িয়ে নজর পড়ে যায় পুস্তকে।খ্যাতিমান লেখকদের লেখা পড়ে উৎসাহের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
কাকে বাদ দিয়ে কারই নাম বলবো? জয়নাল আবেদীন , আবু তাহের মেসবাহ, হুমায়ূন আহমেদ,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর , জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম,জসিম উদ্দিন,প্রিয় উস্তাদ আ খ ম আবুবকর সিদ্দিক,আব্দুল লতিফ শেখ,নুরুল আমিন আমজাদিসহ আরো অনেকরই নাম চলে আসে।একসময় লেখক কাতারে নিজেকে জড়িত করার চেষ্টা শুরু হল।আধা কাঁচা লেখা আধো আধো ছন্দপ্রয়োগে হয়তো সুচনা হয়েছিল আমার লেখনিধারা।এতে সাড়া পেয়ে যায় জান্নাতুন নাঈম ভাইয়ের পক্ষ থেকে।তার পর লেখক সমাজেও অনেকের উৎসাহ, প্রেরণা, ভালোবাসা, স্নেহের পরশে গড়ে ওঠে আমার লেখক হওয়ার গল্প। এমনি ধারায় বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও গবেষক কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির প্রতিষ্ঠতা ও পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মওলানা আকতার হোসেনসহ আরও অনেকের নাম চলে আসে।প্রথম লেখা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে লেখক হওয়ার যাত্রাকে নতুন মাত্রা এনে দেয়।তিনটি পত্রিকাও লেখক হওয়ার স্বপ্নকে জগরুক করে তুলে।মনে পড়ে সেই, দৈনিক ইত্তেফাক ,ইসলামি যুগান্তর , ভোরের বাংলা, পত্রিকায় প্রথম লেখা প্রকাশের সাজানো গুছানো প্যারাগুলো। পত্রিকায় লেখা প্রকাশের পাশাপাশি একজন লেখক নিজেকে পাঠকের সামনে উন্মোচন করতে গ্রন্থ প্রকাশের বিকল্প নেই।সেই আলোকেই গ্রন্থ প্রকাশের মনোনিবেশ করা।এবার এতে প্রকাশকের ভুমিকায় এগিয়ে এলেন লেখক ও প্রকাশক সালমান ফারসি। "পুস্তক প্রকাশণী" থেকে তিনি আমার প্রথম গ্রন্থ 'পরকাল' প্রকাশ করলেন।পাঠক মহলে এর গ্রহণযোগ্যতা অর্জন ছিল যথেষ্ট ঈষর্ণীয়।এতে লেখক হিসাবে উৎসাহের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হলো বঙ্গিয় সাহিত্য একাডেমি থেকে 'অগ্রযাত্রা'। এবং আরো প্রকাশিত হলো যৌথ ক্যাব্য গ্রন্থ ভারত বাংলা সাহিত্য পরিষ থেকে 'ডুবে ডুবে ভালোবাসি' আর জে প্রকাশণী থেকে "তোমার গল্পে আমার লেখা" সন্দ্বান প্রকাশণী থেকে 'শেষ বিকেলে'।
অভূতপূর্ব সাড়া পেলাম এই গ্রন্থ গুলি প্রকাশ এর পর।কবি বা লেখক হিসেবে নিজের যথার্থ মূল্যায়ন খুঁজে পেলাম উৎকৃষ্ট পাঠকের ভালোবাসায়।পাঠকরা আমার প্রতিভার মাঝে কিছু স্বাদ পেতে চাই বলে আমি এতে ডুবে থাকতে ভালোবাসি তাদের প্রেরণা পাওয়ার আশায়। তবে লেখক হিসেবে আমি বেঁচে থাকতে চাই পাঠকের হৃদয়ে। কারণ লেখক শক্তির কাছে অন্য সকল পরিচয় আমার কাছে ম্লান মনে হয়।তাই ভালো লেখা দিয়ে ইসলামের প্রদীপ জ্বালিয়ে যেতে পারলেই লেখক জীবন সার্থক হবে, এমনটি স্বপ্ন নিয়ে লিখে যাচ্ছি আমি।জানি না পাঠকের কতটুকু ঠাঁই হবে? তবুও লিখে যেতে চাই উৎকৃষ্ট পাঠকের উৎসাহ নিবারণের স্বপ্ন নিয়ে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ গোলাম কিবরিয়া / ই-মেইল :daliysomoyaralo24info@gamil.com --(জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো প্রিন্ট পত্রিকার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই)
দৈনিক সময়ের আলো ২৪ডট কম