জহিরুল ইসলাম রামগড় খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : মানুষের জীবনে পিতামাতার পরই শিক্ষকের অবস্থান এই প্রভাতকে বাদ দিয়ে,খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় মাস্টার পাড়া এলাকায় তালিমুল উম্মা মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আব্দুস সামাদ।
হেফজো বিভাগের ছাত্র নাঈমুল ইসলাম(নাঈম) এর মা খোদেজা বেগম (৪৫)জানান, আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে কোরবানির ঈদের আগে হঠাৎ একদিন বাড়িতে আসে, মাদ্রাসা থেকে আসার পর সে আর মাদ্রাসায় যেতে চায় না,, অনেক জোরাজুরি করে মাদ্রাসায় পাঠিয়েছি এরপর সে আবার বাড়িতে চলে এসেছে। ছেলেকে বারবার জিজ্ঞাসা করলে সে বলে মাদ্রাসায় আর যাবে না ,কেন যাবে না এমন প্রশ্নে ছেলে বলে,মাদ্রাসার হুজুর আব্দুস সামাদ তার সাথে খারাপ কাজ করতে চায়, ও বাথরুমে ঢুকিয়ে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করেছে সেজন্যে আর মাদ্রাসা যাবে না।ছাত্রের মা খাদিজা বেগম আরো জানান গত কোরবানির ঈদের তিন চার দিন আগে আমার ছেলের সাথে শিক্ষক সামাদ নোংরা কাজ করার চেষ্টা করেছে, এতে ছেলে এখন সব সময় আতঙ্কিত হয়ে থাকে,, মাদ্রাসার কথা বললে সেই ভয় পায়।ভুক্তভোগী ছাত্র নাঈমুল ইসলাম নাঈম (১১) জানান আমাকে হুজুর ভয় দেখিয়েছেন এবং বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করেন।
জানা গেছে, মাওলানা আব্দুস সামাদ রামগড় উপজেলার কোট মসজিদ ইমাম কাম মোয়াজ্জিম হিসেবে কর্মরত রয়েছে পাশাপাশি তিনি মাস্টার পাড়া তালিমুল উম্মা মাদ্রাসায় শিক্ষকের চাকরি করেন । মাওলানা আব্দুস সামাদ রামগড় পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল খালেক (মোল্লা) এর ছেলে। এছাড়াও তিনি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । অত্র মাদ্রাসায় ছাত্রসংখ্যা আবাসিকে থাকে প্রায় ৪০ জন।এর পূর্বেও কোমলমতি ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার এরমত ঘিন্ন অপরাদের ঘটনার অভিযোগ রয়েছে মাদ্রাসা ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্র বিষয়টি তার মাকে জানালে, ভুক্তভোগী পরিবার মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছে এর পরও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ।
সুশীল সমাজ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, মাদ্রাসায় বাচ্চাদের পাঠদানের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু মাদ্রাসার লম্পট শিক্ষক যদি আমাদের সন্তানদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করে তাহলে আমরা দ্বীনই শিক্ষার জন্য কোথায় আমাদের সন্তানদের নিরাপদ মনে করবে। একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক দ্বারা বাচ্চাকে বলাৎকারের ঘটনা অথবা চেষ্টা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এমন একটা নোংরা কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা সামাদ এর কাছে সত্যতা জানার জন্য একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা পরিচালক মুফতি মোহাম্মদ ইউনুছ জানান ছাত্রের পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা মাদ্রাসার সুনাম রক্ষার্থে শিক্ষক আব্দুস সামাদ কে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার এবং সে মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন সেখান থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।এবং রামগড় কোট মসজিদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।
Leave a Reply