জহিরুল ইসলাম 'রামগড় প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়ে ১৯৬২/৬৩ সালে স্থাপিত বাগানের কোনা মসজিদ পরবর্তীতে মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদ এর রেকর্ডীয় নাম জোরপূর্বক পরিবর্তন করে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জামে মসজিদ নামে ডিজিটাল সাইনবোর্ট দেওয়া ও মসজিদ গবেষণার অধিনস্থ করার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এস এম ফয়সাল (অশ্রু)র বিরুদ্ধে' স্থানীয় সমাজ পরিচালনা কমিটির অভিযোগে বলা হয় বহুবছর আগে থেকে মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে 'এবং এ মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের নামে ২২৯নং রামগড় মৌজা ভলিয়ম নং ০৪" পৃষ্ঠা নং ১৮৮" ৮৬৫ নং হোল্ডিংয়ে (১ একর) ভুমি ৮০/৮১ সনে বন্ধবস্তি দেওয়া আছে' যাহার চৌহুদ্দি হচ্ছে উঃ সিএমবি'র রাস্তা 'দঃ সয়েল বাগান'পূর্বে সিএমবি'র রাস্থা পঃ সয়েল বাগান এবং ২০২৩ সাল পযর্ন্ত জমাবন্ধী' খাজনা দাখিলা সহ যাবতীয় কাগজপত্রে রেকর্ড রয়েছে 'যাহা যাচাইবাছাই করে প্রমাণ পাওয়া যায়। এদিকে ৬ মার্চ পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ মসজিদ ও জমি তাদের দাবি করে ডিজিটাল সাইনবোর্ট লাগাতে গেলে স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পড়ে।স্থানীয়দের দাবি কাগজপত্রে মসজিদের যে নাম আছে তা 'ই দিতে হবে নতুন কোন নাম দিয়ে মসজিদের ইতিহাস পরিবর্তন করা যাবে না।ধর্মপ্রান মুসল্লিদের দাবি একটাই মসজিদের কাগজপত্রে যে নাম সে নামই বহাল রাখা হোক।
সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন সহ স্থানীয়রা জানান এই মসজিদের নাম শুরুতে বাগানের কোনা মসজিদ হিসেবে পরিচিত ছিলো পরবর্তীতে মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদ নামকরণ করা হয় 'এবং মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদ নামে ৮৬৫ নং হোল্ডিংয়ে ২টি চৌহুদ্দিতে ৫.একর জমি রয়েছে ১ম চৌহুদ্দিতে ১একর জমি মাস্টার পাড়া জামে মসজিদ সেক্রেটারি'র নামে রেকর্ড আছে' তারা আরো জানান'কোন কথাবার্তা ছাড়াই হঠাৎ জোরপূর্বক পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বর্তমান প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম ফয়সাল পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জামে মসজিদ নামে সাইনবোর্ট দেওয়ার অপচেষ্টা করেন যা এলাবাসীর বাঁধার মুখে পড়লে তা লাগাতে পারেননি' তবে বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন তিনি। এর পূর্বও ২০০২ সালে কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা ড.মতিউর রহমান জোরপূর্বক মসজিদের নাম রাখেন পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদ,সে সাইনবোর্ট এখনো আছে ' মসজিদের কাগজপত্র নিয়ে বহুবার কৃষি গবেষণা কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা হয়েছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ সমাজ কমিটি ও মসজিদ কমিটির কোন কথাই শুনতে রাজিনা।গবেষনা কর্তৃকপক্ষে বলছে মসজিদ এবং জমি তাদের' স্থানীয়রা আরো জানান মসজিদের একটি কমিটি ছিলো তা ড.এসএম ফয়সাল আসার পর বাদ দিয়েছেন।
এবিষয়ে রামগড় পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহসান উল্ল্যাহ জানান মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদটি রামগড়ের ২য় জামে মসজিদ যাহার বয়স ৬০ বছরের অধিক" এই মসজিদ নিজেস্ব রেকর্ডীয় জমিতে অবস্থিত 'পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আবাসিক এলাকার পাশে হওয়ায় কৃষি গবেষণা কর্তৃপক্ষ মসজিদ এবং জমি তাদের দাবী করছে'।রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এসএম ফয়সাল তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক মসজিদের নাম পরিবর্তন এবং উক্ত মসজিদের রেকর্ডীয় ভূমি পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের অধিনস্থ করার অপচেষ্টা করছেন।
রামগড় থানার উপপরিদর্শক (এস'আই) মহসিন জানান পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে মসজিদের নাম নিয়ে সমস্যার লিখিত একটি অভিযোগ থানায় আসে" আর এবিষয়টি তদন্তের জন্যে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে' বর্তমানে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলমান রয়েছে।
পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান (লিটন) জানান আমাদের কাছে যে কাগজপত্র আছে এতে মসজিদ ও জমি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক এর নামে রেকর্ড রয়েছে ' মসজিদ নিয়ে সমাজ ও গবেষণার যে সমস্যা সেটি আমরা সিনিয়র কর্মকর্তাদের জানিয়েছি' '
সোমবার (১১ মার্চ )দুপুরে রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এস এম ফয়সাল এর অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি'কর্মস্থলে না থাকাতে এই বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।।
উল্লেখ্য- যে -গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে ড.এসএম ফয়সাল পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে যোগদানের পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দাপ্তরিক লিখিত কোন আদেশ ছাড়াই ২৪ ডিসেম্বর ২০২০'ও ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে গবেষণা কেন্দ্রের ১৫টি সেগুন গাছ কেটে বাহিরে বিক্রি করে দেন 'অফিসের গাড়ি তার চট্টগ্রামের বাড়িতে নিয়ে সরকারি খরচে ব্যবহার করেছেন 'স্টার্ফ শ্রমিকদের সব সময় হুমকি ধমকি'দিয়ে তার মুখের কথা শুনতে সবাইকে বাধ্য করেন '' তার নিরব মানসিক অর্ত্যাচারে অসুস্থ ড. আব্দুল সালাম নামে এক কর্মকর্তা চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছিলেন' ড. আব্দুর সালাম জীবিত থাকা অবস্থায় জানিয়েছেন ড. এসএম ফয়সাল এর বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করাতে তার ওপর সব সময় ক্ষিপ্ত থাকতেন। 'ড.এসএম ফয়সাল মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদ (বর্তমান নাম পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদে)গত বছর রমজান মাসে মসজিদে তাবলীগ জামায়াত দল আসলে তাদের ওপর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান ' এবং তাদেরকে মসজিদ থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেন,মসজিদের ইমামকে লাঞ্চিত করা সহ নানান কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত একর্মকর্তা 'গাছ কাটা ও দাপ্তরিক অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ড.এসএম ফয়সাল এর বিরুদ্ধে ৯ই জুন ২০২১ইং ড. বাবুল চন্দ্র সরকার 'ড.হাবীব মোহাম্মদ নাসের 'ও মনিরুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়' বর্তমানে সে তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ গোলাম কিবরিয়া / ই-মেইল :daliysomoyaralo24info@gamil.com --(জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো প্রিন্ট পত্রিকার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই)
দৈনিক সময়ের আলো ২৪ডট কম