আব্দুল আলিম সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সপ্তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ জুলাই রাত ৮.০০টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের লেকচার থিয়েটারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।,
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নব অভিযাত্রার সূচনা হয়েছে,তার প্রতিফলন আমারা দেখছি ওয়েবম্যাট্রিক্স র্যাংকিং এ নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আমাদের দ্বিতীয় স্থান অধিকার, এ বছরের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ভর্তির ক্ষেত্রে নবীন এবং কিছু প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষস্থানে আমাদের অবস্থান লাভ। শিক্ষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে যুগোপযোগী মানব সম্পদ তৈরির যে দায়িত্ব আমাদের উপর অর্পিত হয়েছে, আ তা সুচারুরূপে পালনে আমরা বদ্ধপরিকর।,
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দুই দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করেছে। এই উদযাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষার্থী ও কর্মীগণের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং রবীন্দ্র ভক্ত নানা পেশার স্থানীয় নাগরিক, ও সুধীজন অংশ নিয়েছেন। রবীন্দ্র মেলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন ঘিরে স্থানীয় নাগরিকসহ সর্বস্তরের মানুষের যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে তা আমাদের পরম প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর পরিসরে এই উৎসব আয়োজনের অনুপ্রেরণা। এই উৎসবের অংশ হিসাবে স্থানীয় কুটির শিল্প, তাঁতবস্ত্র, মৃৎশিল্প প্রভৃতির সহযোগে মেলার আয়োজন করলে, শাহজাদপুরের যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারা তার সঙ্গে একাত্ম হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে, একইসাথে তা একটি স্বতন্ত্র উৎসবে রূপলাভ করবে বলে আমার বিশ্বাস। সবমিলিয়ে ৭ম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আয়োজনে জনসম্পৃক্ততায় আমরা প্রাণিত, সুধীমহলের অংশগ্রহণে আমরা আনন্দিত। সকলের আনন্দদৃষ্টে আমরা অভিভূত। আরও বৃহৎ অঙ্গনে, আরও বর্ণিল আয়োজনে প্রতিবছর এই উদযাপনের ব্যাপারে আমরা প্রত্যয়ী।,
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন,রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত যা অর্জন, তা আপনাদের নিষ্ঠা, একাগ্রতা, অভিনিবেশ এবং ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ফল। শিক্ষা-গবেষণার প্রধান দায়িত্বটি আপনাদের উপর ন্যস্ত। সনাতন ধারার বর্ষভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তে সেমিস্টার পদ্ধতি প্রবর্তনে আপনাদের যে সহযোগিতায় পেয়েছি তার জন্য আপনাদের নিকট আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শুধু তাই নয় আউটকাম বেইজড পাঠক্রম প্রণয়ন করে আপনারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদানের ধারাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনারা ঋণী করেছেন। আপনাদের পেশাভিত্তিক যে সংকট রয়েছে, তা নিরসনে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আপনাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা আরও যুগোপযোগী ও উন্নত হবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এসময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply