মো জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান
একজন মানুষের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করার সময়।মানুষ চাইলে সব কিছু পারে কিন্তু মৃত্যু থেকে কেউ বাঁচতে পারে না।একজন মানুষকে যতই ঘাঠ দেওয়া হুক না কেন,কখনো মৃত্যু থেকে বাঁচাতে পারবে না।মৃত্যু এমন একটা বিষয় যা সব প্রাণীর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। যা আমাদের পূর্ব পুরুষরা ও গ্রহন করেছেন।এক সময় এই পৃথিবীতে আমাদের পূর্ব পুরুষ ছিল এখন উনারা কই।আপনার জন্মের পর থেকে আপনি কত প্রিয় জন কে হারায়েছেন।আপনি চিন্তা করেন আপনি কি থাকতে পারবেন।মানুষের জন্মের ধারাবাহিক আছে কিন্তু মৃত্যুর ধারাবাহিক নাই।আপনার সাথে আজ ফজরের নামাজ পড়েছে এমন লোকের আপনি দুপুরের নামাজের পূর্বে তার যানায়াই অংশগ্রহণ করলেন।লোকটি কিছুক্ষণ পূর্বে আপনার প্রতিবেশী ছিল। মৃত্যুর সংবাদ শুনে কি বলা হলো,,আমুক মারাগেছে অমুককে কবরে রাখার ব্যবস্থা কর।কেউ কি বলে ডাক্তার সাহেবকে কররে রাখো?কেউ কি বলে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কে কবরে রাখো?কেউ কি বলে ঐ ধনী লোকটিকে কবরে রাখো?কেও তু এই কথা বলে না।সবাই বলে জানায়া সামনে নিয়ে এসো।জানায়ার নামাজ পরো।জানায়ার অনুসরণ করো।সব পদ-পদবী খুলে নেওয়া হয়।কোন পদ-পদবী বাকি থাকে?কোন সাজ-সজ্জাটা কি বাখি থাকে?কিছু বাখি থাকে না।আপনি কি এটা কখনো ভেবেছেন আপনি তো মরনশীল?আপনার তো মালিকের দরবারে হাজির হতে হবে? আপনার তো এই দুনিয়ার জবাবদিহি করতে হবে।আজ আপনি চোখ দ্বারা গুনাহ করতেছেন।আজ আপনি কান দ্বারা হাত দ্বারা জবান দ্বারা গুনাহ করতেছেন।আল্লাহর শপথ আপনার এই কান এই চোখ এই হাত কিয়ামতের দিন আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে।আপনি যখন কোন কোলকে কাজে নিয়োগ দেন,ঐলোক থেকে আপনার আদেশ মানতে হয়।আপনি কি এটা কখনো ভেবেছেন আপনি তো আল্লাহর গুলাম।আপনি কি তাঁর আদেশ মানতেছেন?,আহ ঐ দিন আপসোস করবেন কেন এমন করে ছিলাম।যদি মানুষ কে ঐ দিন দুনিয়ায় যাওয়ার সুযোগে দেওয়া হয়।তখন মানুষ দুনিয়াতে রেখে যাওয়া ধন-সম্পদ খুঁজবে না,স্ত্রী সন্তান কিছুই খুঁজবে না, সুধু চাইবে অন্তত একবার আল্লাহর জিকির করতে সুবহানাল্লাহ পড়তে, আলহামদুলিল্লাহ পরতে,আল্লাহু আকবর পড়তে। আল্লাহ যেন আমাদের কে ভালো আমল করে গুনাহ গুলো কমা করে কালিমার সহিত মৃত্যু বরণ করার তাওফিক দান করেন।( আমিন)
Leave a Reply