ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ব্যাবসায়ী আবুল কালাম হাওলাদার(৬৮) এর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজিমনগর ইউনিয়নের পুলিয়া বাজারে দীর্ঘদিন যাবৎ কাউছার মুন্সী গং ও কালাম হাওলাদার ব্যাবসা করে আসছেন। তাদের জায়গা পাশাপাশি হওয়ায় দুজনের মধ্যে সীমানা নিয়ে পূর্ব থেকেই শত্রুতা চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েকবার সমাধানের লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে বসলেও কোন সুরাহা হয়নি। এরই মধ্যে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কালাম হাওলাদার মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে কাউছার মুন্সী গং কে হয়রানি করছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাউছার মুন্সীর ছেলে সজীব অভিযোগ করে বলেন, দোকানের সীমানা নিয়ে কালাম হাওলাদারের সাথে মনোমালিন্য থাকায় আমাদের ঘায়েল করতে আমাদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দেন কালাম হাওলাদার। এবং সেই মামলা সূত্রে আমার বাবা কাউছার মুন্সীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অথচ আমরা কারো সাথেই কখনো খারাপ আচরন করিনি। আমার বাবাকে মুক্ত করে দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য সঠিক বিচার দাবি করছি।
আরো একজন ভুক্তভোগী বলরাম দাস বলেন, আমরা সংখ্যালঘু হওয়ায় কালাম হাওলাদার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমাদের জায়গা দখল করার চেষ্টা করেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ঘায়েল করে জায়গা দখলের চেষ্টা করছেন। আমার দলিলের জায়গায় তিনি দোকান তুলে ব্যাবসা করছেন। আমরা বাধা প্রদান করায় আমাদের মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। আমাদের একজন জেল হাজতে আছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামী করার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এই ব্যাপারে পুলিয়া বাজার কমিটির সভাপতি সিরাজ আকন্দ বলেন, আমরা কয়েকবার এই ব্যাপারে বসলেও কোন সমাধানে আসেনি। এরই মধ্যে হঠাৎ জানতে পারি যে কালাম হাওলাদার মামলা দায়ের করেছেন কাউছার মুন্সীর নামে। কোন পক্ষ এখনো আমাকে কিছু জানায়নি। তবে কাউছার মুন্সী ভাল লোক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার নিন্দা জানাই।
আজিমনগর ইউনিয়ন যুবলীগ সেক্রেটারি মওলা শিকদার বলেন, কাউছার মুন্সী গং ভাল মানুষ এবং এরা কখনো কারো সাথে খারাপ আচরন করেছে সেটা শুনি নাই। কালাম হাওলাদার ক্ষমতার জোরে জায়গা দখলের পায়তারা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
এই ব্যাপারে আসেপাশের দোকানের ব্যাবসায়ীরা তীব্র নিন্দা জানান এবং কাউছার মুন্সীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানান। এই ব্যাপারে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
কালাম হাওলাদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply