মোঃ সুমন মোল্লা স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় শনিবার (১জুন) সকাল ১১ টার সময় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মামুন আল রশিদ।
শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা সার্ভিস লেনের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ ঔষধ পুলিশ সূত্রে জানাযায়, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মীম (রূপক নাম) ছেলে বন্ধু একই উপজেলার ইউনুস সরদার (২৪) সাথে ভাঙ্গা গোলচত্ত্বরে ঘুরতে আসেন। গোলচত্ত্বর ঘুরে ভ্যান যোগে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন হয়ে বাড়ি ফেরার পথে বামনকান্দা এলাকায় পৌছালে ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. খালেক মোল্লার পুত্র সাইদুর রহমান (সুজন ) ও তার সহযোগী ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের গোয়ালদী এলাকার তালেব মিয়ার পুত্র মুন্না মুন্সী, ভাঙ্গা পৌরসভার পূর্ব হাসামদিয়া এলাকার মন্নু মিয়ার পুত্র তাহসিন মুন্সী ও অজ্ঞাত একজন ভ্যানের গতিরোধ করে। এর পরে মীম কে জোরপূর্বক রাস্তার নিচে নিয়ে যায়। এরমধ্যে ভাঙ্গা থানার জরুরী টহলটিম এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে দিয়ে মালিগ্রাম যাওয়ার পথে মেয়েটির চিৎকার শুনতে পেয়ে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মো. কবির হোসেন মোল্লা ও সঙ্গীও ফোর্স ঘটণাস্থলে গিয়ে হাতেনাতে চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. খালেক মোল্লার ছেলে সাইদুর রহমান সুজন কে আটক করে। এরপর রাতে ও সকালে অভিযান চালিয়ে আরো ২ আসামিকে আটক করে।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মামুন আল রশিদ জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৭ টার সময় আমাদের একটি জরুরি টহল টিম এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন দিয়ে যাচ্ছিল। পথি মধ্য একটি মেয়ে চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. খালেক মোল্লার ছেলে সাইদুর রহমান সুজন কে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক করে। এর পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আরো ২ জন কে আটক করে পুলিশ।
এই ঘটনায় মেয়েটিকে মেডিকেল চেক আপের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এছাড়াও আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
Leave a Reply