জ্বালানি সংকটে সরকার যখন দিশেহারা বুড়িমারী দিয়ে অবাধে পাচার হচ্ছে জ্বালানী তেল।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে অবস্থিত বুড়িমারী স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশী তেল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার তেল ভারতী ট্রাকের মাধ্যমে পাচার হতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুড়িমারি স্থল বন্দরে বাংলাদেশী তেল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তেল পাচার করেন তেল সিন্ডিকেটের মুল হোতা রাবিউল ইসলাম (টোসা) ও তার ভাগ্না জনি।
এ বিষয়ে রাবিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমি এ ব্যাপারে অবগত নই।কিন্তু আমার অজান্তেই কিছু হলে তিনি দ্বায়ী নন এবং “তেল আমি কাষ্টম কর্তাদের গাড়িতে বিক্রি করি” আপনি দোকানে থাকাকালীন এরকম ঘটনা ঘটেছে প্রমাণ দিলে তিনি সুকৌশলে বিষয়টি এরিয়ে যান।
সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী মূল হোতার সহকারী জনিকে এ বিষয় প্রশ্ন করা হলে তিনি তেল পাচার কথা স্বীকার করে ও সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
জ্বালানী তেল রাবিউল ইসলাম “টোষার” কাছে ক্রয় করেন কি না এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (কাস্টম) জে এম আলী এহসানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।
বুড়িমারী স্থলবন্দর (এসি) রুহুল আমিনের কাছে তেল সিন্ডিকেট রাবিউল ইসলামের কাছে তেল ক্রয় করেন কি না প্রশ্নে তিনি জানান,আমরা খোলা বাজার থেকে তেল ক্রয় করি না। আমরা হক ফিলিং স্টেশন থেকে তেল ক্রয় করি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুড়িমারীর স্থানীয় বাসিন্দা জানান,রাবিউল ইসলাম টোসা ও তার ভাগ্না ভারতীয় গাড়িতে অবৈধভাবে তেল পাচার করে কোটি টাকার মালিক হয়েছে।বাংলাদেশে এরকম তেল সংকটে দেশের তেল ভারতে পাচার করছে তারা।
যেটি দেশ বিরোধী কাজ।তেল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে না দিলে দেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
Leave a Reply