ডেস্ক রিপোর্ট : ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনগণের মৌলিক অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (শুক্রবার, ৭ জুন) বিকেলে তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে সর্বশেষ বাজেট ছিল মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকার। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার মনে হয় ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিল। সেখানে আমরা ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে সক্ষম হয়েছি। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক যে অধিকার সেটা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, দেশীয় শিল্প এবং সামাজিক নিরাপত্তা এসব বিষয়গুলোতে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যা মানুষের জীবনকে উন্নত করবে, নিশ্চয়তা দেবে।
সরকারপ্রধান বলেন, খুব সংরক্ষিতভাবে আমরা এগোতে চাই। যাতে আমাদের দেশের মানুষের কষ্ট না হয়। মানুষের যে প্রয়োজন সেটা আমরা মেটাতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এবারের বাজেট আমরা করেছি। তাছাড়া পারিবারিক কার্ড আমরা দিচ্ছি। যারা একেবারে হতদরিদ্র তাদের আমরা বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তার মাধ্যমে বিনা পয়সায় বই, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ দিচ্ছি- এভাবেই আমরা মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যারা সীমিত আয়ে চলে তাদের জন্য আমরা ফ্যামিলি কার্ড করে দিয়েছি। যাতে কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, কালো টাকা সাদা করা নিয়ে অনেকেই বলেন- তাহলে তো আর কেউ ট্যাক্স দেবে না। ঘটনা কিন্তু তা নয়, এটা শুধু কালো টাকা না। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, এখন এক কাঠা জমি যার সেই কটিপতি। কিন্তু সরকারি যে হিসাব সেই হিসাবে কেউ বেচে না, বেশি দামে বেচে হয়তো কিছু টাকা উদ্বৃত্ত হয়। কিন্তু এই টাকাটা তারা গুঁজে রাখে। তাই গুঁজে যাতে না রাখে সামান্য কিছু দিয়ে হলেও টাকাটা পথে আসুক, তারপর তো ট্যাক্স দিতেই হবে। এজন্যই আমি ঠাট্টা করে বলি- মাছ ধরতে গেলে তো আধার দিতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম, কোভিড-১৯ অতিমারি দেখা দিলো। এই অতিমারির ফলে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। আমারাও সেই মন্দায় পড়ে গেলাম। সারা বিশ্বে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেল। এরপর এলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। সেখানে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেলো।
Leave a Reply