বই পড়ার গুরুত্ব
মো: জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান
পৃথিবীর মধ্যে বহু সভ্যতার অবির্ভাব হয়েছে। সর্বশেষ হলো বর্তমান সভ্যাতা। যা আধুনিক সভ্যতা নামে পরিচিত। যার শিকড়ে রয়েছে জ্ঞান। যে যে বিষয় নিয়ে চর্চা করে সে সেই বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করে। মস্তিষ্কে যা অর্জন হয় তারই নাম জ্ঞান। আমরা পড়াশোনা বা লেখালেখির মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করি। জ্ঞান অর্জনের সর্বোৎকৃষ্ট উপদান হচ্ছে বই। বই মানুষ বিভিন্ন কারণে পড়ে থাকে, কেউ শখ হিসাবে পড়ে, কেউ সময় কাটানোর জন্য পড়ে আবার কেউ জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়ে। বই মনের কষ্টকে নিঃস্ব করে দেয়। আঁখি থেকে জল পড়াকে হাসির সাগরে ভাসিয়ে দেয়। বিপরীতে হাসিকে অশ্রু ভরা জলে পরিণত করে। জীবনে সফলতা অর্জনে ও কম নহে। বই পড়া বিহীন জীবন কল্পনাহীন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বই পড়া ছাড়া চলা অসম্ভব। বই পড়া আমরা স্বভাবগতই বিরোহবোধ করি। মাঝে মাঝে আমাদের মনে হয় যে তার চেয়ে অন্য কোন কাজে সময়টা ব্যয় করলে ভাল হয়। ছাত্র/ ছাত্রী বই পড়ে পরীক্ষায় পাশ করার জন্য কেননা উপায়ন্তর নেই যে।পরিক্ষার আগে শিক্ষক কর্তৃক গলাধকরণ করে পরীক্ষার খাতায় বমি করাটা বর্তমান শিক্ষার্থীদের অভ্যাস। সেই অমূল্য রত্ন খানেক পরে খুজে পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। কী মূল্য হলো বইয়ের বাস্তবতো এটাই যে বইকে অপমানে জজর্রিত করা হলো। এই হলো বর্তমান শিক্ষার্থীদের অবস্থা।যাদি চাকুরীজীবিদের দিকে থাকায় তারা ও পড়ে। পেটের দায়ে পড়তে হয়। ডাক্তারা পড়ে রোগীকে ভালো চিকিৎসা দেওয়ার জন্য , উকিলরা পড়ে তার মক্কেলের মুক্তি প্রয়োজন তাই।টাকার কথা না বলি অবিশ্বাস্য হলেও শিক্ষক জাতিটাও এর সাথে আবদ্ধ। তবে যুবক, বৃদ্ধি ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই বই পড়ে। বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। যারা জ্ঞানী হয়েছে বই পড়া ব্যতীত হয় নাই। যাঁরা আমাদের মাঝে আজ স্মরণীয় তাঁরা ও বই পড়ার মাধ্যমে হয়েছে। ইতিহাসবিদ ইতিহাস সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত। কিন্তু তাঁরা তা অর্জন করেছে বই পড়ার মাধ্যমে। আলেমরা আলেম হয়েছে বই পড়ে।সাহিত্যিকরা সাহিত্য চর্চা করেছে বই পড়ে। শিকড়ে দাড়ালো বই পাড়া ছাড়া অন্য কোন উপয়ান্তর নেই।শত শত বছর পূর্বের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় বই পড়ার মাধ্যমে। বই পড়া বিহীন আমাদের জীবন পরিচালনা করা কঠিন।
আমাদের প্রয়োজন হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে বই পড়া।
“পুষ্টিকর খাবার যেমন দেহের জন্য প্রয়োজন ,
বই পড়া তেমন আমাদের চিন্তাশক্তি চেতনার জন্য অত্যধিক প্রয়োজন “
Leave a Reply