ধারাবাহিক প্রতিবেদন আজ প্রথম পর্ব
নিজস্ব প্রতিনিধি : গাজীপুরের টঙ্গীর আমতলি কেরানিটেক বস্তির হতদরিদ্র জাকির অভাবের তারনায় টঙ্গী রেলওয়ে ষ্টেশন করেছেন কুলির কাজ ও হাকারী এক সময় ৫/৬শত টাকা পুঁজি নিয়ে রেল স্টেশন রাস্তার পাশে ফুটপাতে বিক্রি শুরু করেন শুটকি তাতেও যখন সংসার চলছিলোনা সে সময় ফুটপাতের দোকানদারদের সাথে ভালো সু সম্পর্ক হওয়ার কারনে চালু করেন সমিতি দৈনিক ৫০০/৭০০ টাকা আদায় হয় সমিতি থেকে পরে নতুন বাজার এক সমিতি থেকে স্থানীয় কয়েকজনের জামিনধারে লক্ষাধিক টাকা লোন নিয়ে আশপাশের দোকানদারদের লোন দিয়ে সদস্য বাড়াতে থাকেন এক পর্যায়ে সমিতির টাকা খরচ করে ফেলায় বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দেন জাকির ঋন হয়ে যায় কয়েক লক্ষ টাকা, মা জাহেরা বেগম প্রদিপন এনজিও থেকে লোন নিয়ে জাকিরের বউকে কিনে দেন সেলাই মেশিন ট্রেইলারের কাজ করে চলতে থাকে তাদের সংসার।
এক সময় জাকিরের পরিচয় হয় ডেসকো দালাল চক্রের সাথে। অবৈধ ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে বস্তিতে নামিয়ে দেয় বিদ্যুৎ মিটার তাতেও যেন জাকিরের মন ভরেনা টাকার লোভ বেড়ে যায়।
এক সময় জরিয়ে পরে মাদক ব্যাবসায় মাদকের বড় বড় চালান তার হাত দিয়ে এনে ছরিয়ে দেন মাদক পল্লী ক্ষেত কেরানীটেক এলাকায় এ যেন পেয়ে যায় আলাদিনের চেরাগ প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে মাদক ব্যাবসা করে রাতারাতি বস্তির ঝুপড়ি ঘর থেকে এক লাপে ৬তলা বাড়ির মালিক বনে যান।
কিনেছেন নামে বেনামে প্রচুর জমি, শতাধিক অটোরিকশা, পাটর্সের দোকান। ছেলে মেয়েকে পড়াচ্ছেন উত্তরার নামিদামী স্কুলে। এলাকাবাসী জানান কি থেকে কি হলো জাকিরের আমরা বুঝতেই পারিনি।
যে জাকির কয়েক বছর আগেও দিন আনতে পান্তা ফুরাতো আজ তার টাকার হিসাব রাখার জন্য বেতনভুক্ত কর্মচারী রেখেছেন এ যে আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ ।
জাকিরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগে করলে তিনি সকল অভিযোগের বিষয় এড়িয়ে জান পরবর্তীতে এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন। আমি ডেসকো মিটারের কাজ করি এটি সত্য এছাড়াও ডেসকোতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন জাকির কেডা আর আমার বিরুদ্ধে যা সমস্ত অভিযোগ বলছেন তা সবই মিথ্যা আপনি নিউজ করেন সমস্যা নেই।
Leave a Reply