মোঃ শাহিন শেখ স্টাফ রিপোর্টার : বিদ্যালয়ের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীকে শুভেচ্ছা স্মারক দেয়া হচ্ছে।বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীকে শুভেচ্ছা স্মারক দেয়া হচ্ছে।
মাঘের শীত উপেক্ষা করে প্রাণের বিদ্যাপীঠে হাজির হন প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ দুই যুগ পর পুরোনো সহপাঠীদের কাছে পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন তারা। আড্ডা, সেলফি আর স্মৃতিমন্থনে জমে ওঠে মিলনমেলা।
শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ৪০ বছরের পুরানো বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানের জন্য প্রায় দুই মাস আগে থেকে চলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া। আনন্দ উৎসবের জন্য সাজানো হয় পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
সকালেই বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এরপর পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে টি-শার্ট, ব্যাগ ও উপহারসামগ্রী নেন তারা। বেলা ১১ টায় বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। পরে বিশাল প্যান্ডেলে সহস্রাধিক চেয়ারে সারিবদ্ধভাবে বসেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় শিক্ষক এবং প্রবীণ ও নবীন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।
বিদ্যালয়ের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে আসা নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের একাংশ।
মধ্যাহ্নভোজের পর বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। সন্ধ্যায় শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান পরিবেশন করেন ঢাকা থেকে আসা ব্যান্ড দল অ্যাশেজের শিল্পীরা।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জানায়, পুরোনো এই বিদ্যালয় থেকে বহু শিক্ষার্থী পাস করে বেরিয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। অনেকেই প্রবাস থেকে এসেছেন। বিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এ মিলনমেলার আয়োজন। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
অনেক স্মৃতির বিদ্যালয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ঢল নামে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ের নতুন ৬তলা ভবন নির্মিত হয়েছে। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে। সদরপুরের উন্নয়নে তারা সহযোগিতা করছেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে আশা করি।
প্রাণের বিদ্যালয়ে বহুদিন পর এসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস।
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। অনেকেই প্রবাসে আছেন, তারাও অনেক ভালো আছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা এসেছেন এ অনুষ্ঠানে প্রবাস থেকেও অনেকেই এসেছেন তারা সকলেই এ সদরপুরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। সকলে মিলে এই সদরপুরকে একটি মডেল উপজেলায় পরিণত করা হবে।
Leave a Reply