ফরিদপুর ভাঙ্গার নুরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লাকান্দা গঙ্গাধরদী গ্রামের বিক্রাম মাতুব্বরের(প্রবাসী ) একমাত্র মেয়ে বিউটি আক্তারীর উপর যৌতুকের জন্য অমানবিকভাবে নির্যাতন সহ ঘর থেকে বের করে দিয়ে কেচিগেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিউটি আক্তার নামে এক গৃহবধূ তাকে যৌতুকের জন্য তার শ্বশুর শওকত মাতুব্বর (৫৫), তার শ্বাশুড়ি বিলকিস (৫০), তার দেবর সোহেল মাতুব্বর (২২), এবং তার চাচাতো ননদ কবিতা আক্তার (২২) পিতা কোববাত মাতুব্বর দিনের পর দিন অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
বিউটির মা সোনিয়া আক্তার বলেন, আমার একমাত্র মেয়ের সাথে শওকত মাতুব্বরের ছেলে শাকিলের সাথে সম্পর্ক ছিল কয়েক বছর। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে বিবাহ দেওয়া হয়। বেশ কয়েক মাস ভালোই চলছিল ওদের সংসার কিন্তু হঠাৎ কুরবানির পর থেকে শাকিলের পরিবার আমার মেয়ের উপর নির্যাতন চালায় এবং আমার মেয়ের গায়ের রং কালো হওয়ায় যৌতুকের দাবি করেন। বিবাহের সময় আমরা বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ প্রায় তিন লক্ষ টাকার এবং নগদ পাচ লক্ষ টাকা দিয়ে থাকি। এখন ওরা এমনও বলতেছে যে আমার মেয়ে শাকিলকে ডিফোর্স দিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
আজকে সকালে আমার মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে মা আমাকে মারধর করে ঘরের ভিতর দিয়ে তালা লাগিয়ে দিছে এবং আমাকে বলে তুই চলে যা বাড়িতে। তোকে আমার ছেলে রাখবে না।
বিউটি আক্তারী বলেন, আমাদের সম্পর্কের পর ফ্যামিগতভাবে বিবাহ সাধী হয়। আমাদের বিবাহের পর থেকে আমার শ্বশুর শ্বাশুরী এবং দেবর কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলো না। কিন্তু হঠাৎ করে আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিছু বাবার বাড়ি থেকে আনতে বলে, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। মাঝে মধ্যে ঠিকঠাক ভাবে খেতে ও দেয় না। কিন্তু আজকে সকালে আমাকে অনেক মারধর করে এবং ঘর থেকে বের করে দেয়, ভিতর থেকে আমার দেবর তালা লাগিয়ে দেয়। আমাকে বলে তোর এই বাড়িতে আর ভাত নাই। তোর বাবার বাড়িতে চলে যা। আর যদি তুই থাকস তাহলে জীবনে মেরে ফেলব।
অন্য দিকে বিউটি বলেন, আমার জীবন চলে যাবে তবুও আমি আমার স্বামীকে ছাড়বো না। আমার জীবনে একটাই বিয়ে। আমি সরকার সহ প্রশাসনের এর সুস্থ বিচার দাবি করছি।
স্থানীয় মাতুব্বর আরহান(৫৫), ছামাদ মুন্সী সহ উপস্থিত লোকজন বলেন, এই ঘটনা আমরা সবাই জানি এবং ঘটনা সত্য। শাকিলে পরিবারের লোকজন তেমন সুবিধা নয়, তারা আমাদের সামনে বলে একটা কিন্তু করে আরেকটা। আমরাও এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই। যাতে করে ওরা ওদের সংসার করতে পারে।
এরপরও আমরা চেষ্টা করে দেখি যদি মিমাংসা করতে পারি ভালো। না হয় আইনের মাধ্যমে যেতে হবে।
Leave a Reply