ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আজ প্রথম পর্ব
মো: গোলাম কিবরিয়া ও মিন্টু শেখ : কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ফরিদপুর নগরকান্দায় অবাধে তৈরি হচ্ছে অবৈধ অটোরিকশা (থ্রি হুইলার)। প্রতিদিন শতশত হলুদ অটোরিকশা বানিয়ে রাস্তায় ছাড়ছে অসাধু ওয়ার্কশপ মালিক সোহেল শেখ । আর এর প্রভাবে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে পুরো নগরী জুড়ে।
অনেকের মতে, ফরিদপুর নগরী এখন অটোরিকশার নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি অলিগলি থেকে শুরু করে সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই এই অটোরিকশার দাপট। এসব রিকশার বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় একদিকে সরকার যেমন মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি প্রতিদিন সড়কজুড়ে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।
আইনের তোয়াক্কা না করে অনেক অটোরিকশা মালিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই অল্প বয়সী চালকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন গাড়ি। ফলে তারা অদক্ষতার কারণে যানজটের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ।
ফরিদপুর নগরকান্দা হাসন হাটি এলাকায় অটোরিকশা তৈরি করা সোহাগ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক সোহেল শেখ বলেন : নগরকান্দা উপজেলার নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির স্যার আমাকে বলছে আপনি তৈরি করে বিক্রি করেন কোন সমস্যা নেই আর কোন গণমাধ্যম কর্মী আসলে আমার কাছে পাঠিয়ে দিবেন।
এদিকে, অটোরিকশার দৌরাত্মে নাজেহাল নগরবাসী দুষছেন প্রশাসনকে। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন হাজারও অদক্ষ চালক দিয়ে অটোরিকশা চলাচল করলেও তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। তারা শুধু বৈধ পরিবহন ও মোটরসাইকেলের ওপর তাদের আইন প্রয়োগ করছে।
নগরীর একটি বেসরকারি কোম্পানির প্রাইভেটকারচালক মামুন বলেন, এসব অটোরিকশার জন্য নগরীতে প্রবেশ করা যায় না। সকাল-সন্ধ্যা যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন সময় তারা দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। পরে দেখা যায় ওইসব অটোচালকের কোনো লাইসেন্সই নেই।
ফরিদপুর বিআরটিএর সহ: পরিচালক মো. এমরান খান বলেন, সামনে আর এসব অবৈধ যানবাহন তৈরি করবে না এমন শর্তে ওয়ার্কশপ মালিকদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিত নেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি তারা বিনা অনুমতিতে এগুলো তৈরি করে তাহলে আর সতর্ক নয়, সোজা জেল-জরিমানা করা হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) ) জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান শাকিল সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, অনেকে হঠাৎ করে পেশা বদল করে কোনো প্রশিক্ষণ না নিয়ে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। এতে নগরীতে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন যে ওয়ার্কশপগুলোতে অবৈধভাবে অটো তৈরি করেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার ফোনের যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেনি নগরকান্দা উপজেলার নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ গোলাম কিবরিয়া / ই-মেইল :daliysomoyaralo24info@gamil.com --(জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো প্রিন্ট পত্রিকার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই)
দৈনিক সময়ের আলো ২৪ডট কম