ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের ১০ নং চরডুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় সংস্কার কাজের টাকা ও শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত শিক্ষা উপকরণ-খেলনা সহ পুরাতন শহিদ মিনারের ইট আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩১ জুলাই ২০২২ ) উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাবাসীর পক্ষে বিদ্যালয়ের জমি দাতা ও সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নান হাওলাদার স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযাগ করা হয়।
অভিযাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চর ইউনিয়নের ১০ নং চরডুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে স্থাপনকৃত পুরাতন শহিদ মিনার ভেঙ্গে তার সমস্ত ইট ও শিক্ষা উপকরণ নিজের বাড়ীতে নিয়া রাখিয়াছে। ইহা ছাড়াও বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক সামান্য কিছু কাজ করিয়া অধিকাংশ টাকা আত্মসাত করেছে। যা সরজমিনে তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে বলে বলে অভিযোগকারী জানিয়েছেন।
এছাড়া স্থানীয়রা অভিযোগ করেন বিগত দিনে বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ, বিগত দিনে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ এবং অনিয়মিত উপস্থিতসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া আছে।
অভিযোগের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২২) ১০ নং চরডুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে বিদ্যালয়ের দুই জন সহকারী শিক্ষক সহ প্রধান শিক্ষক কে উপস্থিত পাওয়া যায় নি।তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল রশিদের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আপনাদের কাছে যেসকল অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা ভিত্তিহীন। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখছেন।
অভিযোগের আংশিক সত্যার কথা শিকার করে সদরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মালেক মিয়া জানান, আমরা অভিযোগের বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্তকারীকে নিয়ে তদন্তে বসেছিলাম। সেখানে প্রধান শিক্ষক শহিদ মিনারের কিছু ইট তার বাড়িতে নিয়ে গেছে বলে শিকার করেন এবং আমরা তাকে মৌখিকভাবে সর্তক করেছি । তবে অভিযোগকারী এর আগেও ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন কিন্তু আমরা তার সত্যতা পাই নি।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগকারী অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিলেন। কিন্তু সরকারি সিন্ধান্ত মোতাবেক স্নাতক পাশ ছাড়া কেউ সভাপতি হতে পারবেন না প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তাই হয় তো তার ব্যক্তিগত রাগ ক্ষোভ থাকতে পারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগণ বিক্ষুব্ধ তারা এই দূর্নীতিগ্রস্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন।
Leave a Reply