পূবাইল (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে পরকীয়া নারীর কুপরামর্শে নিজ স্ত্রীসত্নানকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে।স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে লিগ্যাল নোটিশ ও ডিভোস দিতে তৎপর ঐ লম্পট স্বামী। স্বামীর এরূপ ঘটনায় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পূবাইল থানায় ভুক্তভোগী নির্যাতিতা আয়েশা আক্তার তার স্বামী আল-আমীন ও পরকীয়া নারী কহিনুর বেগম নামে ২ জনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অভিযুক্ত আল-আমীন পূবাইল থানাধীন ৪২ নং ওয়ার্ডের স্হানীয় পদহারবাইদ এলাকার মো.শাহ জাহান মিয়ার ছেলে ও মা হোসায়ারী লিমিটেডের মালিক। যেখানে প্রতিষ্ঠিত ব্রাণ্ডের অনুমোদন ব্যতীত বিভিন্ন নামে তৈরি করা হয় মূজা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে আল- আমীন ও আয়শা আক্তার নামে ঐ দম্পতির ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ করেন। প্রায় ১২ বছর ঘর সংসার জীবনে দুটি কন্যা সন্তান আসে তাদের কোলজুরে। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই সঠিকভাবে ভরনপোষণ দেন না আল-আমীন। ভরনপোষণের দাবি করলেই প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো অভিযুক্ত আল-আমীন। ভুক্তভোগী ওই নারী তৃতীয় বারের মতো সন্তান সম্ভবা হয়। তবে সন্তানটি জন্মের সময়েই মারা যায়। এই সুযোগে অভিযুক্ত আল-আমীন তার পরকীয়া প্রেমিকা কহিনুর ও অজ্ঞাত কিছু ব্যাক্তির কুপরামর্শে ভুক্তভোগী আয়শার সম্মতি ছাড়াই লাইজেশন করেন। এতে সারাজীবন এর জন্য মাতৃত্ব হওয়ার ক্ষমতা হারান তিনি। এদিকে গেলো কয়েকদিন পূর্বে এলাকার স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে অভিযুক্ত আল-আমীন ও কহিনুর এর বিয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে পাড়ায় বিষয় টি নিয়ে আল-আমীন এর সাথে আলোচনা করতে গেলে ওই নারীর উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত আল-আমীন। একপর্যায়ে আল-আমীন বাঁশের লাঠি দিয়ে ভুক্তভোগী আয়শাকে বেধর মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় সত্নানসহ বাসা থেকে বের করে দেয়। অভিযুক্ত আল-আমীন এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় অসহায় হতদরিদ্র ঘরের মেয়ে আয়েশা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। আলামীনের শাশুড়ি রহিমা বেগম জানান, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তিলতিল ধারদেনা করে আমি লক্ষ লক্ষ টাকা জামাই আলামীন কে দিয়েছি,এখন নানা অজুহাত এনে আমার মেয়ে ও নাতনিদের জুলুম নির্যাতন করে আসছে।আমি একজন মা হিসেবে এর সঠিক বিচার চাই।
এবিষয় অভিযুক্ত আল-আমীন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি দেখি আদালত আমাকে কি শাস্তি দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ গোলাম কিবরিয়া / ই-মেইল :daliysomoyaralo24info@gamil.com --(জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো প্রিন্ট পত্রিকার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই)
দৈনিক সময়ের আলো ২৪ডট কম