বাংলাদেশের সব থেকে ক্ষুদ্রতম মানুষ হলো চুয়াডাঙ্গা জেলার বাড়াদি ইউনিয়নে আঠারখাদা গ্রামের আব্দুর রশিদের দুই কন্যা রুপা ও মিম। রুপার বয়স ৩৩ বছর এবং মিমের বয়স ২৮ বছর অথচ রুপা উচ্চতাই 32 ইঞ্চি এবং মিম ৩১ ইঞ্চি।ওজনে রুপা ১২কেজি এবং মিম ১৭কেজি। পুতুলের মত দেখতে বলে মানুষ দুই বোনের নাম দিয়েছে পুতুল মানব। এই দুই বোনকে দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়তই ছুটে আসে শত শত মানুষ। মাঝে মাঝে দুই বোনের মধ্যে ঝগড়া দুষ্টুমি লেগে থাকে।
রেগে গেলে অনেক সময় জিনিসপত্র ভাঙচুর করে তারা। প্রিয় খেলার মদ্ধে দুই বোন লুডু খেলাকে বেছে নিয়েছে। তাদের কথাবার্তা চালচলন দেখে মনে হয় যেন অন্য কোন গ্রহের প্রাণী। বাড়াদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ তোবারক হোসেন বলেন বাংলাদেশের ভিতরে ক্ষুদ্রতম মানব হওয়াই গ্রিনিসবুকে তাদের নাম তোলার জন্য সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি ।
পুতুল মানবের পিতা মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মেছে রুপা ও মিম ।তাকে নিয়ে বাংলাদেশ সহ ইন্ডিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তারের কাছে ঘুরে ঘুরে লাখ লাখ টাকা খরচ করার পরেও কোন কাজ হয়নি। আমার তিনটা সন্তানের মধ্যে দুইটাই প্রতিবন্ধী।কৃষি কাজের উপর ভিত্তি করে জীবন চলে আমাদের। অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে চলে আমার সংসার। সরকার থেকে তেমন কোন সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় মাত্র ২০০ টাকা করে ভাতা পায়।এর আগে জেলা প্রশাসক আমার বাড়িতে এসে পরিদর্শন করে গেছে তারপরেও কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।আব্দুর রহিম বলেন আমার পুত্র সন্তান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করে বেকার অবস্থায় আছে একা সংসারের চালানো খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। যদি আমার পরিবারের একমাত্র সন্তানের কোন একটা চাকুরীর ব্যবস্থা হয় তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও দুঃখটা লাঘব হবে।
Leave a Reply