বুড়িমারী হাসর উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ না হওয়ায় দুই শিক্ষকের উত্তোলন করা সরকারি বেতন – ভাতার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ।
ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী হাসর উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে । শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষণ অধিদপ্তরের একটি চিঠি গত ২৭ জুলাই পেয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম খন্দকার । জানা গেছে , ওই বিদ্যালয়ে ২০০৪ সালের ২৪ মে সহকারী শিক্ষক ( কম্পিউটার ) পদে যোগ পান মোখলেছার রহমান প্রধান । ওই বছরের ১ জুন কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে সরকারি এমপিওভুক্ত ( মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার ) হন তিনি । পরে ২০১২ সালের ২৯ জুলাই সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন মোখলেছার রহমান প্রধান । যোগদানের ছয় মাস পর সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১২ হাজার টাকা বেতন স্কেলে এমপিওভুক্ত হন ।সহকারি পধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নীতিমালা ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকেরা সহকারী প্রধান হিসেবে নিয়োগের যোগ্য হবেন । কিন্তু তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান এবং প্রথম এমপিওভুক্ত হওয়া থেকে ১০ বছরের অভিজ্ঞ না হওয়ার পরেও সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান ।
এ কারণে ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে পাঁচ বছর দুই মাসে সরকারি কোষাগার থেকে তোলা ১১ লাখ ২০ হাজার ৯১০ টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর । একই বিদ্যালয়ের ১৯৯৪ সালে অফিস সহকারী এবং পরে ২০১২ সালের ২৯ জুলাই সামাজিক বিজ্ঞান পদে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান সফিদ আলী। শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ছাড়া তাঁর নিয়োগও বিধিসম্মতভাবে হয়নি । ২০০৫ সালের ২০ মার্চের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক পদে শিক্ষক নিবন্ধন ছাড়া নিয়োগ ও সরকারি বেতন – ভাতা পাবেন না । এ কারণে সফিদ আলীকে ২০১২ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ বছর পাঁচ মাসে সরকারি বেতন – ভাতা নেওয়া ৮ লাখ ৫ হাজার ২৮০ টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে একই অধিদপ্তর । এ বিষয়ে বর্তমান সহকারী শিক্ষক মোখলেছার রহমান বলেন , ‘ প্রতিবেদন বা চিঠি আসার কথা শুনেছি ।
এবং শিক্ষক সফিদ আলী মুঠো ফোনে বলেন,বিদ্যালয়ের একটি চক্র আমাদের বিব্রত করতে ষড়যন্ত্র করছে তাছাড়া যে প্রতিবেদন বা চিঠি এসেছে এটাতে মন্ত্রণালয়ের বা শিক্ষা অধিদপ্তরের সড়ক নম্বর নেই এটা ভূয়া। ‘ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম খন্দকার বলেন , শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক টুটুল কুমার নাগ, আমার মেইলে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সেখানে দুই শিক্ষককে বেতন – ভাতা ফেরতের নির্দেশের দিয়েছেন।
Leave a Reply