দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পূর্ব হামলার জেরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ১ম গেটের এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্যঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাতে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর এর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয় এবং মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম গেটে পথসভা করে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। ওই আনন্দ মিছিলে কেন অংশ গ্রহণ করা হয়নি এমন বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে কৃষি অনুষদের তৃতীয় সেমিস্টারের (২০১৭-১৮) শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ৭ম সেমিস্টারের (২০১৭-১৮) শিক্ষার্থী এস এম আবুল খায়ের রাব্বি সিকদারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি দিয়ে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় রাব্বিকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বুধবার(২১ ডিসেম্বর) ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ ও পদবঞ্চিত এ দু’গ্রুপে মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপে ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, থানা পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ রাত সাড়ে ৯ টায় ক্যাম্পাসে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পদবঞ্চিত একাধিক নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে এক নেতা জানান, কমিটি পাওয়ার পর থেকেই তারা (সাগর-তারেক) ক্যাম্পাসে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর রাজত্ব কায়েম করতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় এসকল অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আমি মনে করি এগুলো তাদের অযোগ্যতা ও আক্রমণাত্মক মন মানসিকতার ফসল।
এস এম আবুল খায়ের রাব্বিকে মেরে আহত করা হয়েছে এ বিষয় জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেক সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, এটা ভিত্তিহীন। রাব্বির ওপর অতর্কিত হামলার কোন ঘটনা ঘটে নি।
ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর জানান, এটা ছাত্রলীগের কোন গ্রুপিংয়ের অন্তঃকোন্দল না। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে কোন সুবিধা অসুবিধায় পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। বহিরাগতরা হামলা করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সন্তোষ কুমার বসু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছাত্রলীগের কমিটির দৌড়ে অনেকেই থাকেন কিন্তু সবাই তো পদ পাবেন না, যারা পদ পেয়েছেন এবং যারা পাননি তাদেরকে আমরা একত্রে কাজ করার জন্য বলছি তারপরও আজকের অনাকাঙ্খিতভাবে সংঘর্ষ হয়। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ কেয়ারে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ক্যাম্পাসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a Reply