জসিম উদ্দিন নাগর, নীলফামারী প্রতিনিধি: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বৈষম্যহীনতা, সমঅধিকার, অগ্রগতি ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীলফামারী জেলা ডিমলা উপজেলার শাখার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১৭ বছর পর খোলা মাঠে আয়োজিত এ সম্মেলনে বিপুলসংখ্যক জামায়াতের কর্মী উপস্থিত ছিলেন ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর)দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডিমলা উপজেলার আয়োজনে ডিমলা ইসলামী ডিগ্রী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ডিমলা উপজেলার জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা মজিবর রহমানের এর সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে দলীয় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বেলাল কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও টিম সদস্য রংপুর দিনাজপুর অঞ্চল,বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, টিম সদস্য, রংপুর -দিনাজপুর অঞ্চল ও জেলা আমির নীলফামারী, ডক্টর খায়রুল আলম, জেলা নায়েরে আমির নীলফামারী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল সাত্তার,জেলা নায়েবে আমির নীলফামারী,অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম জেলা সেক্রেটারি নীলফামারী,
বক্তারা বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এত বেশি ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি। শিশুদের কী অপরাধ ছিল? তারা শতাধিক শিশুকে হত্যা করেছে। নব্বই বছরের বৃদ্ধ তো রাস্তায় আসেনি, তাদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত জঘন্যতম নির্মমতা ও পৈশাচিকতা প্রদর্শন করেছে আওয়ামী লীগ। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর তাদের শাসনামলের সবচেয়ে নির্যাতিত-মজলুম দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেয়নি। কারণ জামায়াত এভাবে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে না। আমরা এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই প্রতিশোধ নেবো। আমরা জানমাল দিয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করতে চাই।
বক্তারা আরো বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের গুম-হত্যা ও নির্যাতনের কারণে ডিমলায় দলটি প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। এ সময়ে গোপনেই সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার বিতাড়িত হওয়ার পর দেশে এখন একটা স্থিতিশীল নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে। তাই এত বছর পর প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
Leave a Reply