লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (০৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ওই ছাত্রী বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করার সময় একই ইউনিয়নের আমজাদ আলীর ছেলে (১৬) ছাত্রীটিকে মজাদার খাবার দেওয়ার কথা বলে পাশের হলুদ খেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ফরিদুল পালিয়ে যায়। এ সময় অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা মেয়েটিকে তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়। ওই দিন দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এবং এক পক্ষ দেনা দরবার করে আর্থিক মীমাংসার পায়তারা করলেও পরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় মামলা করেন।
পুলিশ মামলা আমলে নিয়ে রাতেই অভিযান চালায়। তবে ছেলে ও তার পরিবার পালিয়ে গেছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় থানা-পুলিশ মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মেয়ে ও ছেলের পরিবার আমাকে এ ঘটনা বলেনি। আমি বিভিন্ন জনের কাছে ঘটনা জেনেছি। তবে মেয়ের তুলনায় ছেলের বয়স ৯-১০ বছর বেশি হবে। আমাদেরতো এসব বিষয়ে হাত দেওয়ার সুযোগ নেই।’
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলা দিয়েছে। রাতই অভিযান চালানো হয়েছে। ছেলে ও তার পরিবার পালিয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Leave a Reply