পটুয়াখালীর দুমকিতে ১৫ বছর ধরে এক পরিবারকে অবরুদ্ধ থাকার পর প্রশাসনের সহযোগিতায় অবশেষে চলাচলের পথ পেল ভুক্তভোগী পরিবার।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান ও থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম’র সহযোগিতা ভুক্তভোগী পরিবারকে ৩ ফুট চলাচলের পথ বের করে দেয়া হয়। এতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন ওই পরিবারটি।
জানা যায়, উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত সোবাহান হাওলাদারের মেয়ে পারভীন বেগম। দীর্ঘ ২৭ বছর আগে মা ও খালার কাছ থেকে পারভীন তার ছেলে আকাশ ও স্বামী শহিদুল ইসলাম দলিল মূলে ৩ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে বসবাস করে আসছেন। গত ২০১৩ সালের ৮ মার্চ পারভীন বেগমের চলাচলের পথে একটি আলগা দোকানঘর নির্মাণ করেন মুরাদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ নাসির উদ্দীন খান। এ নিয়ে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও ১৫ বছর চলে গেছে শুধু চিঠি চালাচালিতে। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন সহ তাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জে’র সহযোগিতায় সেই দোকানঘর ভেঙে চলাচলের জন্য ৩ ফুট পথ বের করে দেয়া হয়। তবে দোকানটি ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিলো। ভাঙার সময় দোকানের মধ্যে কিছুই ছিল না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় তাদের চলাচলের জন্য ৩ ফুট পথ বের করে দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply