পটুয়াখালীর দুমকিতে ডাক্তার এটিএম নাসির উদ্দিনকে ‘স্যার’ না ডেকে ‘ভাইয়া’ ডাকায় এক মহিলা রোগীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, রবিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১২ টায় বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ফখরুল আলম শামীমের স্ত্রী ইয়াসমিন বাহার (৪৫) মেয়ের জামাই মোঃ রাজিবুল ইসলাম রন্টিকে (২৯) ও তার মেয়ে সুমাইয়া আলমকে (২২) সাথে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে ডাঃ সিরাজুল ইসলাম (সুজন) তাকে আলট্রাসনোগ্রাফি করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। সে মোতাবেক উপজেলার পীরতলা বাজার সংলগ্ন মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে আলট্রাসনো করার জন্য আসেন। উক্ত ক্লিনিকের রিসিপশনিস্ট ইয়াসমিন বাহারকে বসতে বলেন এবং ডাক্তার আসবেন বলে অপেক্ষা করতে বলেন। ইয়াসমিন বাহার সেখানে না বসে তার জরুরী কাজে বাজারে গিয়ে বিকাশ থেকে টাকা তুলে আধা ঘন্টা পরে আবার ক্লিনিকে আসেন। তেমন কাউকে না দেখে ক্লিনিকের ভেতরে রিসিপশনের পাশে ৩য় রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে ডাঃ এটিএম নাসির উদ্দিনকে দেখতে পেয়ে ‘ভাইয়া’ সম্বোধন করে আলট্রাসনোগ্রাফি করার জন্য ডাক্তার আছেন কিনা তা জানতে চান। একই প্রশ্ন আরেকবার করা মাত্রই ডাঃ নাসির উদ্দিন তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান।
ভুক্তভোগী ইয়াসমিন বাহার জানান, ডাঃ আমাকে বলেছেন- এই মহিলা ভাইয়া কিসের? আপনি স্যার বললেন না কেন?
আমি বললাম, আমি তো কাউকে চিনি না, ভাই।
তিনি অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় বললেন, ফালতু মহিলা কোথাকার! এখান থেকে বের হয়ে যা! অসভ্য মহিলা কোথাকার! অসভ্যতামি করার জায়গা এইটা না। বের না হইলে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিব।
অনেক দুঃখ প্রকাশ করে রাজিবুল ইসলাম রন্টি বলেন, তিনি (ডাঃ নাসির উদ্দিন ) আরও অনেক রোগীর সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। তাকে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কোন রুগীর সাথে এমন আচরণ না করেন।
প্রত্যাক্ষদর্শীদের একজন বলেন, ডাক্তারের আচরণ একটু কড়া হওয়াতে মহিলা(ইয়াসমিন বাহার) হয়ত একটু কষ্ট পেয়েছেন। পরে তিনিও ডাক্তারের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন।
স্যার না ডেকে ‘ভাই’ সম্বোধন করায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে অভিযুক্ত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চীফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ এটিএম নাসির উদ্দিন সময়ের আলোকে বলেন, স্যার বা ভাই নিয়ে কোন কথা হয়নি। এটা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা অভিযোগ। আমার কাছে আল্ট্রাসনো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আমি ব্যস্ত থাকার কারনে তাকে (ইয়াসমিন বাহার) রিসিপশনে যোগাযোগ করতে বলি। তবে আমার বলার টোনটা একটু উঁচু ছিল।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুস সালাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রামাণ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply