মো: রিয়াজুল ইসলাম, দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে মাদ্রাসা থেকে না বলে বাড়িতে যাওয়ার কারণে আবুবকর সিদ্দীক(১১) নামে এক শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়কভাবে পিটিয়ে জখম করেছেন ওই মাদ্রাসার বাবুর্চি।
২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম মুরাদিয়া গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের হাসেমিয়া ছালেহিয়া হিফজুল কুরআন মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
একইদিন বিকেলে আবুবকরকে উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আবুবকর শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং ওই মাদ্রাসায় ছাত্র।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত বাবুর্চি। অভিযুক্ত বাবুর্চি ফিরুজ মুরাদিয়া ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ডের আক্কেল আলী দেওয়ান।
মাদ্রাসা, শিক্ষার্থীর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নে জামলা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আবুবকর মুরাদিয়া ইউনিয়নের হাসেমিয়া ছালেহিয়া হিফজুল কুরআন মাদ্রাসায় পড়তো। আবুবকর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাড়িতে মাকে দেখতে গেলে পরের দিন তার দাদা আবদুর রহমান খান নিজ দায়িত্বে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষকদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে যান।
কিন্তু বাবুর্চি ফিরুজ ক্লাসে গিয়ে শিক্ষকের অনুপস্থিতে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে পিঠে রক্তাক্ত জখম করেন। খবর পেয়ে তার চাচা জহিরুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মাকে দেখতে মনে চাইলে না বলে বাড়ি গেছিলাম উল্লেখ করে ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জানায়, বুধবার সকালে আবার মাদ্রাসায় গেলে কিছু না বলেই ক্লাসে গিয়ে বাবুর্চি আমাকে বেত দিয়ে মারতে শুরু করেন। অনেক অনুনয় আর কাকুতি-মিনতি করলেও মন গলেনি তার।
আবুবকরকে এমন বর্বরোচিত নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার ও বাবুর্চিকে দ্রুত গ্রেফতার চান তার বাবা আবুল কালাম ও চাচা মোঃ জহিরুল ইসলাম। তারা বলেন, আবুবকরকে যে বাবুর্চি নির্যাতন করেছে শুধু তারই বিচার চাই আমরা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে মাদ্রাসা পরিচালক মোঃ আবু জাফর সময়ের আলো২৪-কে বলেন, আগামীকাল মাগরিব বাদ কমিটির সকলকে বসে ওই বাবুর্চির বিচার করা হবে।
এ ব্যাপারে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুস সালাম জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply