পটুয়াখালীর দুমকিতে সারা উপজেলা জুড়ে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে চোখের রোগ কনজাংটিভাইটিস। উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ইতোমধ্যে এই রোগে কয়েক হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক এমনকি বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ডাক্তারদের চেম্বারে চিকিৎসা নিতে আক্রান্তদের উপচে পড়া ভীড়।
চিকিৎসকরা বলছেন, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। এটি ভাইরাসজনিত রোগ। কালো চশমা পরে ঘরে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে তা সেরে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রোগটিকে কনজাংটিভাইটিস বা চোখের আবরণ কনজাংটিভার প্রদাহ বলা হয়। লোকজনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
চিকিৎসকদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়। পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলে ও চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে অস্বস্তি বাড়ে।
আরও জানা যায়, কনজাংটিভাইটিস রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহৃত বস্তু রুমাল, তোয়ালে, বালিশ অন্যরা ব্যবহার করলে এতে আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া কনজাংটিভাইটিসের জন্য দায়ী ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রাজাখালী গ্রামের আলিম ২য় বর্ষের ছাত্র মাইদুল ইসলাম জানান, তাদের এলাকায় প্রতিটি ঘরে চোখ ওঠা রোগ। অসংখ্য লোক এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় বাজারের অনেক ফার্মেসিতে এখন মক্সিফ্লক্সাসিনসহ অনেক চোখের ড্রপ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম শাহিন সময়ের আলোকে বলেন, কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা একটি মৌসুমী ভাইরাসজনিত রোগ।গত মাস যাবত এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা ছাড়াই ৭ দিনে এই রোগ ভালো হয়। তবে চোখে জ্বালাযন্ত্রণা করলে চিকিসকের পরামর্শ নিয়ে ড্রপ ও ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথকেয়ার সেন্টারের ডেপুটি চীফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিজানুর রহমান মাহবুব বলেন, যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে তাই করোনায় যে রকম স্বাস্থ্যবিধি ঠিক অনেকটাই ওই রকমই মানতে হয়। তবে ড্রপার ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ও মেয়াদ দেখে কেনা উচিত।
Leave a Reply