মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, দুমকি (পটুয়াখালী) :
দীর্ঘ ৩৬ বছর অপেক্ষার পর মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ে বিজয়োল্লাসে মেতে উঠেছে বাংলাদেশের লাখো আর্জেন্টাইন সমর্থক।
তারই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর দুমকিতে সোমবার (১৯ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় মেসি ভক্তদের আয়োজনে এক বর্নাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শতাধিক আর্জেন্টাইন ভক্তদের এ শোভাযাত্রাটি সরকারি জনতা কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে উপজেলার সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে মিলিত হয়।
এছাড়াও র্যালিতে সমর্থকদের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, ১১০ ফুট লম্বা আর্জেন্টিনার পতাকাসহ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুনের পসরা সাজিয়ে বসেন তারা। শোভাযাত্রা শেষে ফটোসেশন আর ভ্যামোস আর্জেন্টিনা গানে নেচে-গেয়ে জয়োল্লাস করেন।
এ সময়ে প্রিয় দলের জার্সি পড়ে মোটরসাইকেলে ও পায়ে হেটে কিশোর-তরুণ-যুবকরা প্রিয় দলের পতাকা নিয়ে মেতে উঠেন দীর্ঘ প্রতীক্ষার বিজয়ে। মেসি মেসি ও আর্জেন্টিনা আর্জেন্টিনা ধ্বনিতে আনন্দের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ছিলেন সকল সমার্থকবৃন্দ।
আজিজ আহম্মেদ কলেজের ইংরেজি বিভাগের লেকচারার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এটি সেরা ফাইনাল। পুরো ম্যাচ জুড়েই বার বার বদলাল খেলার রঙ। সত্যিই এটি লিওনেল মেসি বনাম কিলিয়ান এমবাপ্পের যুদ্ধ। জমজমাট স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচে শেষ হাসি আর্জেন্টিনার। দু'দলের জন্যই রইল অভিনন্দন।
দুমকি উপজেলার অন্যতম আর্জেন্টাইন সমার্থক রাজিবুল ইসলাম রাজ(রন্টি) বলেন, সকল সমালোচকদের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন লিওনেল মেসি তাঁর জাদুকরী বাম পায়ের মাধ্যমে। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে তাঁর বাম পা-ই যথেষ্ট। ইতিহাসের সেরা হতে আর কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তিনিই বিশ্ব সেরা। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে কাঁধে করে দলকে টেনে নিয়ে আসতে হয়।
এত আর্জেন্টিনার জয় কিভাবে দেখছেন এ মর্মে প্রশ্ন করা হলে ইশরাত জাহান (অনি) নামের একজন মেসি ভক্ত জানান, এক কথায় বলতে চাই-ভ্যামোস! অনেক অনেক কষ্টের পরে জয় পেয়েছি। ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনা হেরে যাওয়ার পর অনেক কান্না করেছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ গোলাম কিবরিয়া / ই-মেইল :daliysomoyaralo24info@gamil.com --(জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো প্রিন্ট পত্রিকার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই)
দৈনিক সময়ের আলো ২৪ডট কম