শংকর চন্দ, তাহিরপুর প্রতিনিধি :
তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাও শুল্ক ষ্টেশনের তিন শতাধিক আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী জিম্মি হয়ে পড়েছেন এলাকার একটি চিহ্নিত কয়লা চোর সিন্ডিকেটের হাতে।
কয়লা চুরি বেেন্ধের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের বড়ছড়া ও চারাগাও শুল্ক ষ্টেশনে কয়লা পরিবহন বন্ধের ডাক দেয়া হয়।
পরে এ নিয়ে সকাল ১১টায় গ্রুপের সভাপতি হাজী আলকাছ উদ্দিন খন্দকার উপজেলার চারাগাও শুল্ক ষ্টেশনের বৈঠাখালী নদীতীরে আমদানিকারক, ব্যবসায়ী, লোড, আনলোড শ্রমিক ও শ্রমিক সরর্দারদের নিয়ে কয়লা চুরি বন্ধে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন।
এতে বক্তব্য রাখেন গ্রুপের উপদেষ্টা ও তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল হক, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, গ্রুপের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খসরুল আলম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দার লিটন, গ্রপের সহসভাপতি হাজী ফরিদ গাজী, কোষাধক্ষ হাজী জাহের আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের, প্রচার সম্পাদক হাজি ছিদ্দিক মিয়া, উত্তর শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আমদানিকারক আলী হায়দার, ইউপি চেয়ারম্যান হাজী এম ইউনুছ আলী,প্রমুখ। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, তারা কয়লা চুরি করেই ক্ষান্ত হয়না ওই চোরাইকৃত কয়লা অন্য কাউকে কিনতে দেয়না। শুধুমাত্র তারাই কিনতে পারবে চোরাইকৃত এসব কয়লা। চারাগাও শুল্ক ষ্টেশনে চুরির কারনে দিনদিন এই ষ্টেশনে ব্যবসায়ীরা আসার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কারন তাদের চোখের সামনেই এই সিন্ডিকেট কয়লা চুরি করালেও কেউ এর প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। সভায় বক্তারা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে চারাগাও শুল্ক ষ্টেশনের একটি চিহ্নিত চোর সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে বছরে কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক ও এখানে আসা ব্যবসায়ীদের ।
এ চক্রটি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে শুল্ক ষ্টেশনে গত কয়েক বছর ধরে কয়লা পরিবহনের সময় কয়লা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে রাতের আধারে তাদের বাহিনী দিয়ে নির্যাতনসহ নানা ধরণের হয়রানী করা হয় আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের। এসব বিষয়ের উপর জোড়ালে প্রতিবাদ করে চারাগাও শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ করার হুশিয়ারিও দেন আমদানিকারকগণ।
সভা শেষে বৈঠাখালী থেকে ফেরার পথে আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হাজি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার হেসেন, বিশিষ্ট আমদানিকারক জিয়াউল হকের সহযোগীতায় চুরি করে বিভিন্ন যায়গায় স্তুপ করে রাখা ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪ মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়।
এ সময় কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের উপদেষ্টা হাজী আবুল হোসেন খান, সভাপতি হাজী আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, আজকের পর থেকে কোন কয়লা চুরির ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার বহন করবে কয়লা পরিবহনের সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সর্দারগণ। এবং যেখানে যার দখলেই চোরাই কয়লা পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে গ্রুপ কর্তৃক মামলা দায়ের করা হবে।
Leave a Reply