মোঃ মিন্টু শেখ স্টাফ রিপোর্টার : গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গুয়াধানা গ্রামের নিতাই বিশ্বাসের মেয়ে লিলি বিশ্বাসকে গত ২৮/ ০৩/২০২২ ইং তারিখে হিন্দু ধর্মের বিধান মোতাবেক বিবাহ করে একই এলাকার সুনীল মন্ডলের ছেলে সুকান্ত মন্ডল। বিবাহের প্রায় দেড় বছর পার হলেও আজও স্ত্রীর অধিকার পায় নাই বরং পেয়েছে আপমান আর লাঞ্চনা।
সরেজমিনে গেলে লিলি বিশ্বাস ও সুকান্ত এর ব্যপারে জানা যায়, তারা স্বামী-স্ত্রী ।এ ব্যপারে একই গ্রামের অমল মন্ডলের ছেলে অমিতাপ মন্ডল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এদের বেশি একটা খোজ খবর নেই না, তবে আমরা জানি যে লিলি বিশ্বাস সুকান্ত মাষ্টারের স্ত্রী, সে আগেও এ বাড়িতে এসেছে আমরা দেখেছি।
এ ব্যপারে সুকান্ত মাষ্টারের পাশের বাড়ির নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া ভাতিজা রনি মন্ডল বলেন, সুকান্ত আমার চাচা, লিলি বিশ্বাস কে তার সামনে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে উনি আমার চাচী।
লিলি বিশ্বাস গনমাধ্যম কর্মীদের নিকট তার ব্যপারটা খুলে বলে, গনমাধ্যম কর্মীরা তাকে নিয়ে তার স্বশুর বাড়ি গুয়াধানা যায় সেখানে গিয়ে সুকান্তের বাড়িতে তালা ঝুলানো দেখতে পায় । স্বশুর বাড়ির সামনে দাড়িয়ে গনমাধ্যম কর্মীদের সম্মুক্ষ্যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, তিনি বলেন, সুকান্তের সাথে আমার পরিচয় হয় ফেসবুকে ২০২০ সালে, সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি তার প্রস্তাবে রাজি হই না, পরবর্তীতে নানা কৌশলে আমাকে রাজি করায় এক পর্যায়ে সে আমাকে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সাথে বহুবার শারিরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে আমি তাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে সে তার পরিবারের সাথে আমার ব্যপারে আলাপ করিলে তার পরিবার আমাকে মেনে নেবেনা বলে জানায়। একথা শুনে আমি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি। তারপরও সে আমার পিছু ছাড়ে না, সে আমার গোপালগঞ্জ মেসে এসে আমার ছাত্র এবং মালিকের হাত-পা ধরে আমার সাথে যোগাযেগ করার চেষ্টা করে। ব্যপারটা যখন গ্রামে জানা জানি হয় তখন গ্রামের সকলে মিলে ব্যপারটা সমাধানের জন্য আমাকে প্রস্তাব দেয় কিছু টাকা নিয়ে ওকে ছেড়ে চলে যেতে ।আমি কিছু না বলে ঐ দিন চলে আসি। পরে বিকালে সে আবার আমার মেসের সামনে এসে কান্নাকাটি করে আশেপাশের সবাইকে ধরে আমার সাথে দেখা করে। আমার বিসিএস পরিক্ষার পর ২০২১ সালে কুষ্টিয়ার এক মন্দিরে গিয়ে আমাদের ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমি যখন আমার স্বামীকে তার পরিবারের কাছে আমাদের বিবাহের কথা বলার জন্য বলি, তখন সে আমাকে বলে আমার পরিবার আমার বিবাহ ঠিক করেছে গ্রামের আর একটি মেয়ের সাথে। আমাকে যখন আমার স্বামী সুকান্ত মন্ডল মেনে নিচ্ছিল না তখন আমি সংবাদ সম্মেলন করি, পরে তার ভয়ে আমার সাথে রাতে সুকান্তের সামাজিক ভাবে বিবাহ দিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী ও স্বাশুরী আমার উপর শারিরীক, মানুষিক ও যৌতুক নিয়ে নির্যাতন শুরু করে, ব্যপারটা আমি সহ্য করতে না পেরে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি, অভিযোগের ভিত্তিতে টুঙ্গিপাড়া থানার এস,আই কামরুল আমার স্বামীকে ডেকে বলে দেয় ঝামেলা না করার জন্য। পরের দিন সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায় ও আমার উপর অত্যাচারের হার বাড়িয়ে দেয়। আমি আবার ব্যপারটা থানায় জানালে তারা আমাকে পারিবারিক আদালতে মামলা করার জন্য বলে আমি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মামলাটা করি নাই। আমার স্বামীর পরিবারের লোকজন আমার কাছে যৌতুকের টাকা দাবী করছে যা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।
আমি আমার বিবাহিত স্বামীর সাথে সংসার করতে চাই। এ ব্যপারে আমি সকলের সাহায্য চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সাহায্য কামনা করছি। এই সকল ভন্ড প্রতারকরা যাতে আর কোন মেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
Wow, wonderful blog format! How lengthy have you ever been blogging for?
you made running a blog look easy. The full look of your website is magnificent, as
smartly as the content material! You can see similar: najlepszy sklep and here sklep online